খাবার সংরক্ষণের উদ্দেশে গৃহিনীরা ফ্রিজে রাখেন।এতে স্বাদ কমলেও খাবার নষ্ট হয় না।দীর্ঘদিন এভাবে রেখে খাবার খাওয়া যায়।ডিপ ফ্রিজে দীর্ঘদিন খাবার রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়।আবার চার ধরনের খাবার আছে যা ফ্রিজে রাখলে বিষাক্ত হয়। এসব বিষয়ে সবাইকে সকর্ত থাকতে হবে।
ফ্রিজে রাখলে বিষাক্ত হয়ে যায়, এমন চারটি খাবারের তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো—
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ অনেকে কেটে ফ্রিজে রেখে দেন। পেঁয়াজ পরিবেশে থাকা ব্যাকটেরিয়া গ্রাস করে। রোগীর ঘরের এক কোনায় থেকেও পেঁয়াজের একটি টুকরা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আকর্ষণ করতে পারে। তাই পেঁয়াজের ওপর ছত্রাক দেখা না গেলেও ফ্রিজে থাকা সব ব্যাকটেরিয়া এতে বাসা বাঁধতে পারে।
বিভিন্ন জরিপ থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা বছরে মাত্র এক থেকে দুবার ফ্রিজ পরিষ্কার করেন। নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে ফ্রিজে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। আর এগুলোই খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। তাই কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। রান্নার কিছুক্ষণ আগে পেঁয়াজ কেটে ব্যবহার করতে হবে।
যেসব কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে
রসুন
রসুন কেটে ব্লান্ডারে বেটে গৃহিনীরা ফ্রিজিং করে রাখেন। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ফ্রিজে রাখলে তা বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। কারণ, এটি ফ্রিজের আর্দ্র বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নেয় এবং এতে তাড়াতাড়ি ছত্রাক (খাবারে ছাতা পড়ে) জন্ম নেয়। রসুনের এই ছত্রাক দেহের ক্যানসারের সঙ্গেও সম্পর্কিত।
তাই সব সময় সতেজ রসুন কিনতে হবে এবং শুধু ব্যবহারের আগেই খোসা ছাড়ানো উচিত। রসুন সব সময় শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত। খোসা ছাড়ানো রসুন একটি কাচের বয়ামে ভালো করে ঢাকনা লাগিয়ে রাখতে পারেন। এ ছাড়া খোসা ছাড়ানো রসুন ভিনেগারে চুবিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়।
ভাত
অনেকে রান্না করা ভাত ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন। এটি ঠিক নয়। খাবারের মধ্যে ভাতে দ্রুত ছত্রাক জন্মে। আর ভাত যদি ফ্রিজে রাখতেই হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না।
আদা
আদা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি ঠান্ডা-কাশি প্রশমনে সাহায্য করে। তবে একে ভুলভাবে সংরক্ষণ করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। ফ্রিজের ঠান্ডা ও আর্দ্রতার সংস্পর্শে আদায় ছত্রাক জন্মে। এসব ছত্রাকযুক্ত আদা বিষাক্ত। এগুলো খেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এমনকি এই ছত্রাক কিডনি বিকল করে দিতেও ভূমিকা রাখতে পারে।
Development by: webnewsdesign.com