‘যুবারা ভারতকে ছেড়ে কথা বলবে না’

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৫:২৮ অপরাহ্ণ

‘যুবারা ভারতকে ছেড়ে কথা বলবে না’
apps

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠায় আনন্দ হওয়ারই কথা। কিন্তু ক্রিকেটাররা উচ্ছ্বাস দেখালেন সামান্যই। ড্রেসিংরুমে ফেরার পর স্বাভাবিক ছিলেন সবাই। আর দশটা ম্যাচ জয়ের পর যেমন থাকে, তেমনই ছিলেন আকবরদের ড্রেসিংরুম। তবে একটা ভালো কাজ হয়েছে বৃহস্পতিবার সেমিফাইনাল জয়ের পর, ক্রিকেটাররা প্রতিজ্ঞা করেছেন শিরোপা জিতে আনন্দ করবেন। যুব বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাসিবুল হোসেন শান্তর দেওয়া এই বার্তা সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতো। যুব বিশ্বকাপে রোববারের ফাইনালে ভারতকে হারাতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশই আত্মবিশ্বাস। আর ফাইনালের জন্য উচ্ছ্বাস তুলে রাখা সাহসিকতা দেখানো। ক্রিকেটারদের বিশ্বাসে টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরাও বিশ্বাস করছেন, যুবারা এবার বিশ্বকাপ জিতবেই।বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের যেকোনো পর্যায়ে ফাইনালে ওঠার রেকর্ড ছিল না বাংলাদেশের।

 

অনূর্ধ্ব-১৯ দল সেই মাইলফলক এনে দিয়েছে সেমিফাইনালে কিউই যুবাদের ৬ উইকেটে হারিয়ে। দেশের ক্রিকেটে যেটা নতুন ইতিহাস। এই ইতিহাস আরও সমৃদ্ধ হবে ভারতকে ফাইনালে হারাতে পারলে। হাসিবুল হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফোনে জানান, ক্রিকেটাররা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। খেলোয়াড়দের মানসিকতা দেখে মুগ্ধ তিনি, ‘সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে যা একটু নার্ভাস ছিল ছেলেরা। নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর সবার ভেতরে এই বিশ্বাস তৈরি হয়েছে, তারা ফাইনালেও পারবে।’ভারত যুবদলের কাছে দুটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলে হেরেছে বাংলাদেশ যুবদল।

গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে আর শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত যুব এশিয়া কাপে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও মানসিক চাপ ধরে রাখতে পারেননি আকবর আলীরা। বিশ্বকাপে মনস্তাত্ত্বিক বাধা কেটে গেছে বলে দাবি হাসিবুলের, ‘এই দলটার বড় শক্তি গত দুই বছর ধরে একসঙ্গে খেলছে।

৪২টি ওয়ানডে খেলায় বিশাল অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে যেটা খুব কাজে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস, ভারত-বাধাও ভাঙবে তারা।’

হাসিবুল হোসেন জানান, বর্তমান দলের খেলোয়াড়রা প্রতিভাবান। কোচের দেওয়া নির্দেশনা সহজেই মাঠে প্রয়োগ করতে পারেন তারা। যে কোনো জিনিস সহজে বোঝার এবং কাজে লাগানোর ক্ষমতাই বর্তমান দলের শক্তির জায়গা হিসেবে দেখেন তিনি। বলেন, ‘ছেলেগুলো খুবই স্কিলড। ভালো কোচিং স্টাফের অধীনে লম্বা সময় ধরে খেলায় বেসিকটা মজবুত। বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার আছে দলে। এ কারণে কার্যকর বোলিং হচ্ছে। প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলার কৌশল জানে। অধিনায়ক আকবরের বোলার পরিবর্তন এবং ফিল্ডিং সেটআপ দারুণ। সব মিলে দলটা ভালো প্যাকেজ। ফিটনেস লেভেল উঁচুতে। তাই মনের জোরও বেশি। ভারতকে তারা ছেড়ে কথা বলবে না।’অধিনায়ক আকবর বেশ নির্ভার। শুক্রবার ফোনে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জানালেন, তার সতীর্থরা মানসিকভাবে চাঙ্গা। ভারতের কাছে আগের দুই হার নিয়ে মোটেও ভাবছেন না তারা। বরং বিশ্বকাপের ফাইনালকে আরেকটি ম্যাচ হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক, ‘সেমিফাইনাল জয়ের পর আমরা স্বাভাবিক আছি। মাটিতেই পা আছে।

 

 

আমরা এসেছি ট্রফি জিততে। আর এক ধাপ অতিক্রম করতে হবে। প্রক্রিয়া ঠিক রেখে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলেই হবে।’সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ২১১ রানে বেঁধে ফেলেন বোলাররা। শরিফুল ইসলাম, শামিম হোসেন ও হাসান মুরাদ সফল ছিলেন। ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয় ও শাহাদাত হোসেন জুটি গড়ে তোলেন। সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন জয়। ফাইনালেও অলআউট পারফরম্যান্স চান আকবর। ভারতের বিপক্ষে চাপহীন ক্রিকেট খেলতে চান তারা, ‘আমরা অপ্রয়োজনীয় চাপ নিতে চাই না। ভারত ভালো দল। আমরা তিন বিভাগেই সেরাটা খেলতে চাই। আমাদের দর্শকরা ক্রিকেটের প্রতি নিবেদিত। তাদের উদ্দেশে বলব, এতদিন যেভাবে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন, ফাইনালেও একইভাবে সাপোর্ট করবেন।’ ক্রিকেট মনস্তাত্ত্বিক গেম। ভালো খেলতে আত্মবিশ্বাস লাগে। এ মুহূর্তে যুবাদের শক্তির জায়গাই আত্মবিশ্বাস।

Development by: webnewsdesign.com