মৌলভীবাজারে সরকারী জায়গা ভাড়া দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ

শনিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২১ | ৪:০৩ অপরাহ্ণ

মৌলভীবাজারে সরকারী জায়গা ভাড়া দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ
apps

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বালিকান্দি বাজারে সরকারী জায়গার মালিক দাবী করে ১০টি দোকান কোটা’র ভাড়া আদায় করছেন প্রায় ১৭ বছর যাবৎ।

ভুক্তভূগীদের কাছ থেকে জানা যায়- বালিকান্দি বাজারের আশ পাশের কমবেশি সব জায়গার মালিক দাবী করতেন এলাকার প্রভাবশালী দুই মুরব্বি, হাফিজ জালাল উদ্দিন ও মোঃ বদর উদ্দিন। ভুক্তভোগীরা আরোও জানান, সরকারীভাবে যখন ২০১৭ সালে আমাদের কাছে নোটিশ আসে তখন থেকে আমরা এই সরকারী জায়গার একটি টাকাও প্রভাবশালী হাফিজ জালাল উদ্দিন ও মোঃ বদর উদ্দিন কে দেই নি।

তবে ভুক্তভূগী ৫ জন, ১,মোঃশহিদ মিয়া ২,হাফিজ আনেয়ার ৩,মোঃ ফজলু মিয়া ৪,মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ৫,মোঃ মাহমুদ মিয়া,জানান–আমাদের কাছে সরকারি নোটিশ আসার আগে, হাফিজ জালাল উদ্দিন নগদ প্রায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ও মোঃ বদর উদ্দিন নগদ ৩৩ হাজার টাকা নিয়েছেন মালিক পক্ষ দাবী করে,এবং ১৭-১৮ বছর ধরে মালিক দাবী করে ভাড়াতো নিয়েছেন প্রতি মাসেই।

ভুক্তভোগীরা জানান, আমাদের ৫টি দোকানের ক্ষয়ক্ষতি ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, এখন আমাদের সরকারী জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা কিন্তু আমরা কোথায় যাবো আমাদের বাচ্চারা কি খাবে এবং কিভাবে তাদের লেখাপড়া করাবো আজতো আমাদের সব শেষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের জোর দাবী আমাদের ক্ষতি পূরণ কে দিবে কোথা যাবো আমরা দয়া করে আপনি যদি একটু আমাদের প্রতি সহানুভূতি হন, তাহলে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারবো এবং সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আরেকটি কথা বলতে চাই আমাদের বাজারে মোট ১০ টি দোকানের ওপর উচ্ছেদ মামলা ছিলো কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের ৫টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে কিন্তু বাকি ৫টি দোকান কেনো উচ্ছেদ করা হয় নি এর জন্য আপনার কাছে বিচার চাচ্ছি।

ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ শওকত আহমদ জানান, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে যারা টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।

এ-বিষয়ে এনডিসি মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, বালিকান্দি বাজারে ১৭-১৮ বছর ধরে রাস্তাজুরে সরকারী জায়গায় প্রায় ১০টি দোকান দখল করে আসছে, এবং সচরাচর ভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারছিল না বলে ২০১৭-২০১৮ সালে একটি উচ্ছেদ মামলা ছিল। এবং সরকারী জায়গায় যাদের দোকান ছিলো তাদেরকে জায়গা খালি করার জন্য আদেশ দিয়ে আসছিলাম ২০১৭ সালে, কিন্তু আজ ২০২০ সালের শেষের দিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে এসে আমরা সরকারের নিদের্শনা মোতাবেক সরকারী জায়গা থেকে অবৈধ দোকান কোটা সরিয়ে ফেলি।

Development by: webnewsdesign.com