মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ : ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ | ১:৪৩ অপরাহ্ণ

মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ : ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
apps

মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।তিনি বলেন, গ্রাহকরা টাকা দিয়ে ইন্টারনেট কিনে তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এটা এক ধরনের প্রতারণা।বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংলাপে মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেন।

অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) টেলিকম খাতের করনীতি ও ইকোসিস্টেম নিয়ে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।সংলাপে মন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু অপারেটরের সিম দিয়ে আমি ঠিকভাবে কথা বলতে পারিনি। কল করলে কথার মাঝখানে তা কেটে যায়। কল ড্রপের জন্য গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত। ক্ষতিপূরণ না দিলে তা যৌক্তিক হবে না। এটা কোনো ব্যবসায়িক নীতি হতে পারে না।

অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা ফেরত না দেয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহক টাকা দিয়ে ইন্টারনেট কিনে তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এটা একধরনের প্রতারণা। এটা কোনোভাবেই চলতে দেয়া উচিত না। সেবা নিয়ে আপনারা গ্রাহকদের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করুন।

অনুষ্ঠানে মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার।

তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরদের সেবার মানে সাংঘাতিক ঘাটতি রয়েছে। গ্রাহকেরা সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ব্যবহার করার আগেই তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এটা একধরনের প্রতারণা। এভাবে করা আয় থেকে সরকারের রাজস্বের দরকার নেই। গ্রাহকদের তাদের প্রাপ্যটা দেয়া উচিত।

দুর্বল নেটওয়ার্ক নিয়েও অভিযোগ করেন শ্যামসুন্দর সিকদার। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো এখনো ফাইবার অপটিকের ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে করছে না। এর জন্যও সেবার মান কম হচ্ছে।

নীতি-সংলাপে টেলিকম খাতের করব্যবস্থা ও ইকোসিস্টেমকে ব্যবসাবান্ধব করার আহ্বান জানান এ খাতের ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকেরা।তারা বলেন, প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মোবাইল খাতে কর তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। অপারেটরদের বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন সন্তোষজনক নয়। অন্যদিকে মোবাইল ভয়েস ও ইন্টারনেটের দাম বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে কম। এভাবে করের ভারে জর্জরিত থাকলে এই খাতের কোম্পানিগুলোর টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।

Development by: webnewsdesign.com