মেঘনায় ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | ৩:২৪ অপরাহ্ণ

মেঘনায় ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ
apps

শীতে ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরাও খুশি, জেলেপাড়ায় বইছে আনন্দের জোয়ার। ফলে দিন-রাত শীত উপেক্ষা করে ইলিশ ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। হাট-ঘাট এখন ইলিশে জমজমাট। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত বেচা-কেনা। জেলার প্রতিটি উপজেলার মাছ বাজার এখন ইলিশে ভরপুর। অসময়ে বাজারে কম দামে ইলিশ ক্রয় করতে পেরে খুশি ক্রেতারাও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট, কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, বাত্তিরঘাট, কটরিয়া, লুধুয়া-ফলকন, রামগতি উপজেলার রামগতি ঘাট, টাংকীর ঘাট, আলেকজান্ডার সেন্টার খাল, রায়পুরের চরবংশী এবং চর আবাবিলের ঘাটসহ সব মাছঘাট এখন সরগরম। জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে ঘাটে তুলছেন, ব্যবসায়ীরা এসব ইলিশ কিনে স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করছেন।

জেলার প্রতিটি বাজারে এখন জমজমাট ইলিশের হাট বসে। বাজারে বোয়াল, কোরাল ও পোয়াসহ অন্যান্য মাছ থাকলেও ইলিশের দখলেই থাকে পুরো হাট। দামও ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। মাঝারি সাইজের (৫০০ গ্রাম) ওজনের প্রতি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতাদের আগ্রহ ইলিশ ক্রয়ের প্রতি।

স্থানীয়রা বাজারে মাছ ক্রেতা আসিফ ও জাকির হোসেন জানান, জেলার প্রতিটি বাজারে এখন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি হয়। নদী থেকে বাজারগুলো কাছে হওয়ায় ঘাট হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজারে আসে ইলিশ। তাই তাজা মাছ কিনতে ক্রেতারাও ছুটে আসেন বাজারে।

সদর উপজেলার উত্তর তেমুহনী, মাছ বাজার, দক্ষিণ তেমুহনী, কমলনগর উপজেলার লরেন্স বাজার, করইতলা, তোরাবগঞ্জ, করুনা নগর, রামগতি উপজেলার মধ্যে রামগতির হাট, আলেকজান্ডার বাজাসহ জেলার সকল মাছ বাজারে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে শহরের চেয়ে মাছঘাট ও উপকূলীয় বাজারগুলোতে দাম কম।

স্থানীয় জেলে হারুন, আক্কাছ, ভুলু ও মিরাজ বলেন, গত ভরা মৌসুমে মেঘনায় কাক্ষিত ইলিশ ধরা পড়েনি। শেষ মুহূর্তে এসে ইলিশ ধরা পড়লেও জেলেদের পুঁজি ওঠেনি, দাদনদারদের দেনা শোধ হয়নি। এখন শীতে ইলিশ ধরা পড়ায় দেনা শোধ হচ্ছে তাদের। শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার ব্যবসায়ী নাছির, সফিক ও শাহদাত জানান, সব মৌসুমেই ইলিশের কদর। যে কারণে বিক্রি বেশি হচ্ছে। মধ্যরাতেও বাজারে ইলিশের ক্রেতা থাকে। ঘাটেও প্রচুর ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, মেঘনা নদীর রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র। সাগর থেকে এ এলাকায় ইলিশ ডিম ছাড়তে আসে। যে কারণে সারা বছরই কম-বেশি ইলিশ ধরা পড়ে মেঘনা নদীতে। এবার শীত মৌসুমেও জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। আশাকরি সামনের দিনগুলোতে আরো প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।

Development by: webnewsdesign.com