দাঁতের ফাঁকে মাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে লোম। এক ঝলকে দেখে মনে হবে হয়তো চোখের পাতা ভুলবশত মুখগহ্বরে প্রবেশ করেছে। কিন্তু আসলে তেমনটা নয়। সত্যিই মাড়িতে গজিয়ে উঠেছে লোম! এমনই বিরল এক রোগে আক্রান্ত ২৫ বছরের ইতালির এক তরুণী।
গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত এমন পাঁচটি ঘটনা সামনে এসেছে। পঞ্চমজন হলেন এই তরুণী। যার অদ্ভুত রোগ অবাক করেছে চিকিৎসকদেরও। বছর দশেক আগে প্রথমবার ওই তরুণী টের পান তার মুখের ভিতরে লোম গজাচ্ছে।
পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি। সেই সঙ্গে তার ডিম্বাশয়ে রয়েছে একাধিক সিস্ট।
চিকিৎসকরা জানান, হরমোনজনিত কারণেই তার শরীরে লোম গজানোর মাত্রা বেশি। এরপর শুরু হয় হরমোন সংক্রান্ত চিকিৎসা। তাতেই মুখগহ্বরের ভিতরে গজিয়ে ওঠা চুল বা লোমে রাশ টানা সম্ভব হয়। কিন্তু এখানেই সেই ঘটনার হ্যাপি এন্ডিং হয়নি। ছ’বছর পর তার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে। গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এই রোগের ক্ষেত্রে উপযোগী। তাতেই বছর ছয়েক অনেকখানি রোগমুক্ত হয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু হঠাৎই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। আর তাতেই ফের বাড়ে তার বিরল রোগ।
মাড়ির লোম আনুবিক্ষণ যন্ত্রের নিচে রাখতেই আঁতকে ওঠেন চিকিৎসকরা। এবারের গজিয়ে ওঠা চুলের সংখ্যা এবং ধরন আগের চেয়ে একেবারে অন্যরকম। কীভাবে এমনটা হল, বুঝে উঠতে পারেন না চিকিৎসকরাও। নতুন করে শুরু হয় তার চিকিৎসা। বর্তমান ইতালির ক্যাম্পানিয়া লুইগি ভানভিতেল্লিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। তবে এখনও তিনি সম্পূর্ণভাবে রোগমুক্ত হয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। কিন্তু তরুণীর এমন রোগের কথা শুনে চমকে গেছে গোটা বিশ্ব। এ ধরনের রোগীকে কীভাবে রোগমুক্ত করা যায়, তার জন্য নানা গবেষণা চলছে।
Development by: webnewsdesign.com