মুক্তিযোদ্ধা মামাকে নানা বানিয়ে সরকারি চাকরি

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১০:৪৮ অপরাহ্ণ

মুক্তিযোদ্ধা মামাকে নানা বানিয়ে সরকারি চাকরি
apps

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দুলাল হোসেন (৩০) তার মুক্তিযোদ্ধা মামা ইব্রাহিম আলী মণ্ডলকে নানা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন।

কিন্তু চাকরি পাওয়ার ছয় বছর পর দুলালের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। অনুসন্ধান শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করা হয়।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুলাল হোসেনের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার তানইল গ্রামে। তার বাবার নাম মোসলেম উদ্দিন। মা দুলোতন বিবি। দুলাল এখন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বামনসাতা-সফাপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। ২০১৩ সালে তার নিয়োগ হয়।

আগের বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তিনি চাকরির জন্য আবেদন করেন। আবেদনে দুলাল উল্লেখ করেন ইব্রাহিম আলী মণ্ডল তার নানা। আর মা দুলোতন বিবি ইব্রাহিমের মেয়ে। অথচ তারা দুই ভাই-বোন।

কিন্তু দুলাল মান্দার ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের কাছে একটি প্রত্যয়নপত্র নেন। এতে বলা হয়, দুলোতন বিবি ইব্রাহিমের বড় মেয়ে। তাই সংরক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা কৌটায় তার চাকরি হয়।

কিন্তু অভিযোগ পেয়ে দুদক অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখে, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করা হয়নি। সেটি ভুয়া। আর ইব্রাহিম দুলালের নানা নয়, মামা। তাই মামলা করা হয়।

মামলায় বলা হয়, দুলাল ২০০৫ সালে দাখিল এবং ২০০৯ সালে কৃষি ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু চাকরি নেন জালিয়াতি করে। নিয়োগ পাওয়ার পর দুলাল ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৪ টাকা বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দুলাল হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুলাল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Development by: webnewsdesign.com