মিয়ানমারের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়, মামলা চলবে

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ | ৪:৩৭ অপরাহ্ণ

মিয়ানমারের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়, মামলা চলবে
apps

মিয়ানমারের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়, রোহিঙ্গা গণহত্যার এ মামলা চলবে। রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় কোনোভাবেই মিয়ানমার এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদনের বিষয়ে বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানান।

আন্তর্জাতিক আদালত বলেন, রাখাইনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সম্পর্ক বহুবছরের। কিন্তু সেখানে সেনাবাহিনী দ্বারা জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এই অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতের রয়েছে।

আদালত জানান, গণহত্যা সনদের ধারা ২ এর আলোকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী (প্রোটেক্টেড) গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচ্য। সনদের সংশ্লিষ্ট ধারা ৮ ও ৯ এর আওতায় এই মামলা দায়েরের গাম্বিয়ার প্রাইমা ফেসি অধিকার।

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে মিয়ানমারের আদালতে আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। গাম্বিয়া নিজ উদ্যোগে এই আবেদন করেছে। এরপর তারা ওআইসিসহ যেকোনো সংস্থা ও দেশের কাছে তারা সহযোগিতা চাইতে পারে। তাতে মামলা করার অধিকার ক্ষুণ্ন হয় না।

দুই বছর আগে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে যে বর্বরতা চালানো হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করার অভিযোগে মিয়ানমারকে জাতিসংঘের এই সর্বোচ্চ আদালতে এনেছে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর ওই মামলার ওপর শুনানি হয়। তাতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে মিয়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।

গণহারে হত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে রেহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি নির্মূল করাই যে ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে সেনা অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল- তা পরের বছর জাতিসংঘের স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে উঠে আসে।

সেনাবাহিনীর ওই সাঁড়াশি অভিযানে অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয় বলে তদন্তকারীদের ধারণা। আর প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

Development by: webnewsdesign.com