মিরপুরে ভূমিখেকোদের দৌরাত্ম্যে ছাড় পাচ্ছে না মসজিদের জমিও

রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১:১৭ অপরাহ্ণ

মিরপুরে ভূমিখেকোদের দৌরাত্ম্যে ছাড় পাচ্ছে না মসজিদের জমিও
মিরপুরে ভূমিখেকোদের দৌরাত্ম্যে ছাড় পাচ্ছে না মসজিদের জমিও
apps

মিরপুরের কালশী এলাকার বিহারী ক্যাম্প। মাঝেমধ্যেই জমিজমা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধ এখানে নিত্যদিনের ঘটনা। নানান সমস্যায় জর্জরিত ক্যাম্পগুলোতে জমির ওপরই নজর বেশি ক্ষমতাবানদের।

ভূমিখেকোদের দৌরাত্ম্যে দরিদ্র বাসিন্দারা তো বটেই ছাড় পাচ্ছে না মসজিদের জমিও। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ ফিটের মতো জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। যে জমিটা এখন বাকি আছে, সেটায় সামাজিক কাজ হয়। মানুষ মারা গেলে জানাজা, জানাজার গোসল, বিয়েসহ ইত্যাদি সামাজিক কাজ হয়। এখন সেই জমিটাও দখল করার জন্য তারা (ভূমিখেকো) পাঁয়তারা করছে।

আবার যেসব হত দরিদ্র বাসিন্দারা জমি দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন নানানভাবে চাপে ফেলা হচ্ছে তাদের। ভুক্তভোগীরা জানান, জোর করেই জমি দখল করা হচ্ছে। জমি নিয়ে ঘর বানাচ্ছে, একটা ঘর দিয়ে বাকিগুলো তারা দখলে নিচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। এটি মিরপুরের পূর্ব কুর্মিটোলা ক্যাম্প। সবার যেখানে মাথা গোজার ঠাই মেলানো কঠিন সেখানে অনেকে আবার গরু ছাগল হাঁস মুরগির খামার করে বসে আছেন।

আর ক্যাম্পজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ এখন প্রতিদিনের ঘটনা। এসব বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ না আসায় তারাও যেন অনেকটা অসহায়।

ডিএমপির পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার আবদুল হালিম জানান, মালিকানা নিয়ে অথবা এসব জমি নিয়ে যাতে কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয়, আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। তারা নিজেরা না পারলে অবশ্যই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। এ ছাড়া পুলিশের সহায়তা দরকার হলে থানার দরজা সবসময়ই খোলা আছে।

তবে সাধারণ ক্যাম্পবাসীকে যেকোনো সমস্যায় পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ তাদের। আর নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ বন্ধ করা না গেলে ঘটবে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।

Development by: webnewsdesign.com