একটু কাশি হয়েছে তাই মাস্ক পরছি না। দম বন্ধ লাগে কিংবা শরীর খারাপ তাই খুলে রেখেছি। সরকারি হিসেবে করোনায় প্রায় সাড়ে চার লাখ রোগী শনাক্ত আর ছয় হাজারের বেশি মৃত্যু নিশ্চিতের পরেও মাস্ক নিয়ে এমন আজব সব অজুহাত নগরবাসীর।
নো মাস্ক নো সার্ভিস চালুর কথা থাকলেও তা নিশ্চিত করতে কোনও তদারকি চোখে পড়ে না সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আগে মাস্কই করোনা মোকাবিলার বড় ঢাল।
হাসপাতালে এক রোগীর স্বজন বলেন, আমার ব্যবহৃত মাস্ক দিয়ে রোগীকে ডাক্তারের কাছে পাঠাইছি। তাই আমার মুখে মাস্ক নেই।
রোগী নিয়ে হাসপাতালে, দুজনের একটি মাস্ক তাই ভাগাভাগি করে পরা। এমন আজগুবি অজুহাত শুনতে হলো রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে।
হাসপাতালের মতো এমন সংবেদনশীল জায়গায় এসেও মাস্ক নিয়ে অনীহার শেষ নেই। কে মানবে আর কে মানাবে সব পক্ষেরই যেন অনীহার শেষ নেই। অথচ সরকারি নির্দেশ মতে মাস্ক ছাড়া সার্ভিস দেওয়ারই কথা না এমন প্রতিষ্ঠানে।
একজন বলেন, মাস্ক মুখেই ছিল। কথা বলার জন্য খুলে রাখছি।
অফিস আদালতে মাস্ক পরার বাধ্যতামূলক করার কথা থাকলেও বেমালুম সব ভুলে আছে সবাই। দেয়ালে সাঁটিয়ে দেওয়া মাস্ক না হলে মিলবে না সেবা তবে কাজের ক্ষেত্রে মিলছে না সেই হিসেব।
সরকারি অফিসের এক কর্মচারী বলেন, ক্যাশে বসে থেকে মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য মাস্ক খুলে রাখতে হয়। কারণ মাস্ক থাকা অবস্থায় কথা বললে সেটা ভালোমতো শোনা যায় না।
গণপরিবহনের অবস্থা যেন আরও বেহাল। কে মানবে আর কে-ই বা মানাবে। যদিও ক্যামেরা দেখে পকেট কিংবা ব্যাগের মাস্কটা মুখে গুঁজে দিতে ভুল হয় না।
বাসের এক যাত্রী বলেন, পানি খাওয়ার জন্য মাস্ক খুলে রেখেছিলাম।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে মাস্ক পরতে বাধ্য করাতে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে অনেক মাস্ক দিতে হবে। একই সঙ্গে মাস্ক ছাড়া সার্ভিস পাওয়ার যাবে না, এই আদেশ নিশ্চিত করতে হবে।
মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিতে ঢাকার বাইরে অভিযান চালালেও রাজধানীতে খুব একটা চোখে পড়েনি এমন তৎপরতা।
Development by: webnewsdesign.com