মাল্টা বাগান করে সফল বড়লেখার জাকির হোসেন

মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৫:২১ অপরাহ্ণ

মাল্টা বাগান করে সফল বড়লেখার জাকির হোসেন
apps

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মাল্টার চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক জাকির হোসেন। উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ঘোলসা গ্রামে জাকির হোসেনের মাল্টা বাগান। বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে ছোটবড় হাজারো মাল্টা।

বাগানে ফলন এসেছে ভালো,ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। সারিবদ্ধ মাল্টা গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে আছে আধাপাকা মাল্টা।

উদ্যোগক্তা জাকির হোসেনের বাগানের মাল্টা বিদেশি মাল্টার চেয়ে রসালো ও বেশ সুস্বাদু মিষ্টি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সবুজ রঙের মালটা বিক্রিও করছেন স্হানীয় বাজারে। ২০১৭ সালে বড়লেখা কৃষি বিভাগে সহায়তায় ১২০টি মাল্টার চারা ১ বিঘা জমিতে রোপণের মাধ্যমে মাল্টা ফলের চাষ শুরু করেন তিনি।

২০২০ সালে প্রথম মাল্টা উৎপাদন হয়েছে জাকির হোসেনের বাগানে। বিক্রি করেন ২৭ হাজার টাকা। এবার মাল্টার উৎপাদন বৃদ্ধি হওয়ায় বেশি লাভের আশায় আছেন। এ বছর প্রায় সাড়ে ৩ টন মাল্টা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিকমত বাজারজাত করতে পারলে ৩ লাখ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন। তাকে অনুসরণ করে এলাকার যুবকরা মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জাকির হোসেন বলেন,আমি প্রবাসে ছিলাম, দেশে এসে দেখি বাজারে বিভিন্ন জাতের ফল ফরমালিন যুক্ত। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক। মানুষ নিরাপদ ফল খাওয়ার কথা ভুলে গিয়ে ছিল। ভেজালমুক্ত ফল উপহার দেওয়ার কথা চিন্তা করেই বড়লেখা কৃষি বিভাগের সহযোগীতা নিয়ে মাল্টার বাগান করি। ফলন ভাল হওয়া আমি আরও ১২০ শতক জায়গায় মাল্টা,লেবু ও আম বাগান করেছি। অল্প পরিশ্রমে কম খরচে মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।

চারা রোপণের প্রথম দুই বছর সাথী ফসল হিসেবে, পেঁপে, আদা, মরিচ, শসা ফলানো যায়। অল্প পরিশ্রমে কম খরচে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আর্থীক লাভবান হওয়া যায়।

বাগানে বারি- মাল্টা১ জাতের ১২০টি মাল্টার গাছ রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছর পর ফলন আসা শুরু করে। তিন বছর পর একটি গাছে পূর্ণাঙ্গরূপে ফল ধরা শুরু করে। নতুন বাগানসহ মোট ৩শত ৫০ টি বিভিন্ন জাতের চারা রয়েছে। বাগান দেখে অনেকেই মাল্টা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বড়লেখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,কৃষিবিদ দেবল সরকার বলেন,এ অঞ্চলের মাটিতে মাল্টা চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। মাল্টা চাষ করে জাকির হোসেন সফল হয়েছেন। কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় ১৭ সালে বারি- মাল্টা১ জাতের ১২০টি চারা দিয়ে তিনি বাগান শুরু করেন।

ফলন ভালো হওয়া আরও ১২০ শতক জায়গায় বাগান করেছেন। সব সময় কৃষি বিভাগ তাকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ করা সম্ভব। তার বাগানে আশানুরূপ ফলন হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com