মানুষকে ঘরে রাখতে বাউফল প্রশাসনের প্রচেষ্টা।

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১ | ১২:০৮ অপরাহ্ণ

মানুষকে ঘরে রাখতে বাউফল প্রশাসনের প্রচেষ্টা।
apps

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে সারাদেশের মত বাউফলেও চলছে কঠোর লকডাউন। মানুষকে ঘরে রাখতে সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন প্রশাসন। লকডাউন কার্যকর করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। দোকান পাট বন্ধ রাখতে জোরদার করা হয়েছে টহল। অপরদিকে প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষদের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন উপজেলা প্রশাসন।

লকডাউনের প্রথম দিন (বুধবার) পৌর শহরে স্বাস্থ্য বিধি লংঘন ও মাস্ক না পরিধান করায় ৯ পথচারীকে ১ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট মো. জাকির হোসেন।

এদিকে, উপজেলার বৃহৎ বাণিজ্যিক বন্দর কালাইয়া ও পৌরশহর সহ বিভিন্ন ছোট বড় বাজারে পুলিশ টহল অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাস্কও বিতরণ করে পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখছে। চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। সাধারন মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি মানার বলাই নাই। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। নগরের হাট,কাছিপাড়া বাজার, নুরাইনপুর বাজার ও কালাইয়া বন্দরসহ বিভিন্ন ছোট বড়বাজার গুলোতে আগেরমতই গণজামাতে চোখে পড়ছে।

মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম,বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক অতুল চন্দ্র পাল বলেন, মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করতে প্রশাসসনকে আরও কঠোর হতে হবে।

বাউফল থানা পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) আল-মামুন বলেন, লকডাউন সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন আমরা মাঠে থাকবো।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য বিধি লংঘন করা যাবে না। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। কোন ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠান সরকারি আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Development by: webnewsdesign.com