মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় পারাপারে দূর্ভোগে দশ গ্রামের মানুষ

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় পারাপারে দূর্ভোগে দশ গ্রামের মানুষ
apps

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের পাশদিয়ে বয়ে গেছে এক সময়ের খর স্রোতা, ধলেরশ্বরী-কালিগঙ্গা নদীর সংযোগকারী নুরানী নদী। নদীটি দখল আর দূষণে কুইচারঘাট খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষা আসতে না আসতেই কুইচারঘাট এলাকায় অথৈই পানি হওয়ায় বাঁশের সেতু কিংবা খেয়া নৌকাই এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। ঝুঁকিপূণ বাঁশের সাঁকোতে পারাপারে দশ গ্রামের মানুষকে পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের বড় কালিয়াকৈর গ্রামের কুইচারঘাটে সেতুর অভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার বড় জণগোষ্ঠিকে। জন প্রতিনিধিদের নিকট সেতু নির্মাণে বারবার দাবী জানালেও আশ্বাসেই পার হয়ে গেছে প্রায় চার যুগ। তাই এলাকাবাসী নিজস্ব অর্থায়নে একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করে কোনমতে পারাপার হয়। এ গুরুত্বপূর্ণ ঘাট দিয়ে ছোট কালিয়াকৈর, বড়কালিয়াকৈর, গোলাইডাঙ্গা, নবগ্রাম, আরমারা, শিবপুর ,আটকুরিয়া, এগারাশ্রী, গাড়াদিয়া ,বাংগালা দশ গ্রামের প্রায় ১৫/২০ হাজার লোকজন যাতায়াত করে থাকে।

জানা যায়, কুইচারঘাট খাল পারাপরের জন্য বাড়ি বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ সংগ্রহ করে ছয়টি সিমেন্ট এর পিলার তৈরি করে। অর্থসংকটের কারণে স্থানীয়দের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ ঢালাই ব্রীজ নির্মাণ করা সম্ভব না হওয়ায় পিলারের উপর বাঁশের মাঁচাল বসিয়ে সেতু তৈরি করে খাল পারাপারের কিছুটা দূর্ভোগ লাঘবের চেষ্টা চলছে। সেতুটির পূর্ব ও পশ্চিম পাশের পিলারের উপর মাচাল গুলো তেমন শক্ত করে বসানো হয়নি। বাঁশের সেতুর মাঝখানে নিচু হয়ে গেছে। একটু ভরেই সেতুর মাচাঁল দোলতে থাকে।

এ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সেতু দিয়ে পারাপারের সময় পা ফঁসকে পড়ে গিয়ে আহত হওয়া ঘটনাও ঘটেছে অনেক। শিক্ষক-শির্ক্ষাথী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের যাতায়াত, কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ, ব্যবসায়ীদের পণ্যপরিবহন, মুর্মূষু রোগীর চিকিৎসা সেবা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে পারাপারে স্কুলগামী শিশুদের অভিভাবকরা থাকেন আতংক- উৎকন্ঠাই। অনেক সময় বই-খাতা পড়ে যায় খালে, আবার অনেকে আহত হওয়ার ভয়ে লেখাপড়া বন্ধ করেছে।

স্কুল পড়ুয়া রেশমা বলেন, খেঁয়াপারে পারে সময় ক্ষেপন হওয়ায় সময় মত ক্লাস করতে পারিনা। এ ঘাটে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবী জানচ্ছি।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুবাইয়াত জামান বলেন, কুইচারঘাটে ব্রীজ এর জন্য কেউ এখনো আবেদন করে নাই। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খুব অচিরেই জনদূর্ভোগ হ্রাসে ব্রীজের ব্যবস্তা করা হবে। যে কোন জনদূর্ভোগ লাগবে বর্তমান সরকার বদ্বপরিকর।

Development by: webnewsdesign.com