পাঁচশত শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিলেন জবি সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি

মানসিক বিষাদ দূরীকরণে ৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিলেন জবি সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি

প্রতিবেদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৯:১৯ অপরাহ্ণ

মানসিক বিষাদ দূরীকরণে ৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিলেন জবি সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি
মানসিক বিষাদ দূরীকরণে ৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিলেন জবি সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি
apps

মানসিক চাপ, বিষন্নতা, সিদ্ধান্তহীনতা বা মানসিক যেকোনো অস্থিরতার দূরীকরণে ‘ট্রেইন ইউর মাইন্ড’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষ্যে এতে প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোচিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মাইন্ড ট্রেনার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মাইন্ড কোচ সাবিত রায়হান।

সেশনটিতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা কিভাবে ডিপ্রেশন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবে, কিভাবে দুঃশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকবে, কিভাবে নিজের লাইফ গুছিয়ে নিবে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়েছে। এখানে ছোট জায়গা হওয়ায় আমাদের, শিক্ষকদের সেই সাথে ছাত্র-ছাত্রীদেরও অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে। আমাদের মধ্যে এক এক মানুষের ভালো থাকার বা খুশি থাকার পদ্ধতি এক এক রকম। তবে আমাদের যা আছে তা নিয়েই খুশি থাকতে হবে, সন্তুষ্ট থাকতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা পরবর্তীতে এমন একটি আয়োজনে আমি খুবই আনন্দিত এবং আমি আবার এরকম একটি প্রোগ্রামের আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির জবি শাখাকে আহবান জানাই।

পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাফর হোসেন বলেন, বর্তমান সময়ে এটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ। বিশেষ করে পুরান ঢাকায় এমন একটি প্রোগ্রামের খুব দরকার ছিল। আজকের প্রজন্মের চিন্তা থেকে যা আসবে তা প্রথমে আমাদের পাকনামি মনে হবে। কিন্তু সেই পাকনামি আমাদের নতুন বিশ্ব সৃষ্টির চরম শিখরে নিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি জবি শাখার মডারেটর অধ্যাপক ড. দিপীকা রাণী সরকার বলেন, করোনা পরবর্তীতে আত্নহত্যার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে না কি ভাবে কি করবে, কি হবে তাদের ভবিষ্যত। এমন একটি সময়ে এই আয়োজন খুবই দরকার ছিলো, বিশেষ করে আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তো বটেই।

Development by: webnewsdesign.com