৭০ উর্ধ বৃদ্ধা অসহায় ছেবারন বেওয়া এর পার্শ্বে সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিলেন কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কুমার দত্ত পিপিএম।
উপজেলার সোনামুখি ইউনিয়নের স্থলবাড়ি গ্রামের মৃত মেছের আলী ওরফে মেছুর স্ত্রী ছেবারন বেওয়া ৭০ । ২৬ মে তিনি থানায় এসে মৌখিক ভাবে জানান যে, তার ছেলে মোঃ আসাদুল ইসলাম এবং ছেলের বউ মোছাঃ চুম্বলী খাতুন তাকে ভাত কাপড় দেন না এবং মাঝে মাঝে তার ছেলের বউ তার গায়ে হাত তোলেন।
উক্ত বিষয়টি কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কুমার দত্ত পিপিএম এর নজরে আসলে তিনি বৃদ্ধার সহিত কথা বলে জানেন যে, বৃদ্ধা মহিলা সকালের খাবার ও খান নাই। তাৎক্ষনিক অফিসার ইনচার্জ থানায় বসিয়ে সকালের খাবার খাওয়ান। বৃদ্ধা মহিলার পরনে ছেঁড়া পুরাতন কাপড় দেখে তাকে একটি নতুন শাড়ি কিনে দেন এবং নগদ কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
কাজিপুর থানার পুলিশ টিম বৃদ্ধা মহিলাকে তার বাড়িতে পৌছে দিয়ে তার ছেলে মোঃ আসাদুল ইসলাম এবং ছেলের বউ মোছাঃ চুম্বলী খাতুনকে সতর্ক করে দেন। তার ছেলে এবং ছেলের বউ কাজিপুর থানা পুলিশ কে কথা দেন যে, বৃদ্ধা মায়ের সহিত আর কখনও খারাপ আচরণ ও ভাত কাপড়ের কষ্ট দিবেন না।
পরবর্তীতে তারা তাদের মার প্রতি যাবতীয় দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।থানা পুলিশের এহেন কর্মকান্ড মানবিকতার পরিচয় বহন করে।
কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কুমার দত্ত জানান, মানুষের সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া,আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক সহায়তা প্রদান পুলিশের দায়িত্ব। একজন মানুষ হিসেবে অসহায় পরিবারকে সহায়তা করা একজন মানুষের দায়িত্ব ভেবেই পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের চেষ্টা করেছি।