মাধবপুরে শারদীয় দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৮:৪১ অপরাহ্ণ

মাধবপুরে শারদীয় দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা
apps

সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে দেবীর আগমনকে ঘিরে দেবীর প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শিল্পীরা। দিন রাত পরিশ্রম করে তাদের নিঁপুন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করে যাচ্ছেন এক একটি অনিন্দ সুন্দর প্রতিমা। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পৌরশহর কাটিয়ারা এলাকার প্রতিমা তৈরির শিল্পী চন্দন পাল বলেন, এবার করোনা মহামারীর কারনে সময় কম থাকায় প্রতিমা তৈরির সেট বেশি অর্ডার নেইনি। গেল বছর ১০ টি প্রতিমা তৈরি করলেও এবছর অর্ডার নিয়েছি গতবারের অর্ধেক।

এগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দামের যে অর্ডারটি পেয়েছি সেটির দাম ২০ হাজার টাকা। একটি প্রতিমা তৈরি করতে শিল্পীদের সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিটি প্রতিমা তৈরি করতে ২-৩ ভ্যান মাটি লাগে। খড়ের আউর লাগে ৪ থেকে ৫ পৌন। এছাড়া কাঠ, বাঁশ, দড়ি, পেরেক, সুতা ও ধানের গুড়াসহ বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন হয়। অন্যান্য জিনিসগুলোর জন্য খরচ হয় তাদের ২-৩ হাজার টাকার মত। উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, শিল্পীরা কেউ নিজের বাড়িতে আবার কেউ পূজা মন্ডপেই দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে বাড়তি কিছু আয়ের আশায়। সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এই শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এবং ২৬ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে।

শিল্পীরা তাই দেবী দুর্গাসহ প্রতিমাগুলোকে মনোমুগ্ধকর অনিন্দ সুন্দর রূপ দিতে ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুনীল দাস বলেন, এবার ১১৬ টি পূজা মন্ডপে দেবী দূর্গার পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো বলেন, এবার পূজোয় অবশ্যই সকল ভক্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমা দর্শন করতে হবে। এছাড়াও সকল সরকারি নিয়ম মেনে পূজা অনুষ্ঠিত করতে হবে। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন রায় বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে এবার দূর্গা পূজার আনন্দ ম্লান হতে চলছে। প্রতিবছরের মতো এবার পূজার সেই পুরোনো সংস্কৃতি অনেকটা লুকিয়ে থাকবে অগোচরে।

বাইরে ঘুরতে যাওয়া পূজা মন্ডপগুলোতে নানা ধরনের আয়োজন থাকছে না। মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকছে স্বাস্থ্য বিধির কড়া নির্দেশনা। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন জানান, প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক পর্যাপ্ত থাকবে। এছাড়াও মহামারী করোনা ভাইরাসকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপন করা সহ জন সমাগম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

Development by: webnewsdesign.com