সোশ্যাল মিডিয়া এবং নাগরিক সমাজে উঠে আসা বেশ কিছু প্রশ্নের মধ্যেই শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)-র তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে চলেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। বলিউডের আরও এক অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিংকেও মাদক মামলার বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এনসিবি-র গোয়েন্দারা।

মাদক মামলার বিষয় নিয়ে এখনো কিছু বলেননি দীপিকা। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নাগরিক সমাজ ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠেছে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে কৃষক বিক্ষোভের ঘোষিত কর্মসূচি থেকে নজর ঘোরাতেই কি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের ডাকা হয়েছে?

জানুয়ারিতে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থী ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দীপিকা। আহত ছাত্রছাত্রীদের দেখতে পৌঁছেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এসব কারণেই কি দীপিকাকে নিশানা করা হচ্ছে কি না, অনেকে সে ব্যাপার নিয়েও কথা তুলেছেন।

শুধু দীপিকাই নন, রাকুল প্রীত সিং, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কপূরদের পরপর ডাক দেওয়ার পুরো বিষয়টিকে বড়সড় মাত্রা দেওয়ার পিছনে কোনও প্রচ্ছন্ন রাজনীতি কাজ করছে কি না, সে ব্যাপারেও প্রশ্ন উঠেছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তকে ঘিরে বিহার ও মহারাষ্ট্র সরকারের সংঘাত সামনে এসেছিল। নরেন্দ্র মোদি, নীতীশ কুমারদের দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, বিহারের ভোটের কথা মাথায় রেখে মৃত্যু তদন্ত নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।

সুশান্তের পরিবারের পক্ষে ওঠা অভিযোগগুলি নিয়ে এই মুহূর্তে সিবিআই, ইডির তৎপরতা দেখা না গেলেও প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে এনসিবি। অভিনেতাকে ঘিরে মূল তদন্ত পথ হারাচ্ছে কিনা, তা-ও আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, মাদক চক্রের মূলহোতা হিসেবে পরিচিত কমলজিৎকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে টেলিভিশন জগতের অন্তত ২০ জনের নাম করেছে ওই মাদক ব্যবসায়ী।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছে, সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে গ্রেফতার রিয়া ও শৌভিক চক্রবর্তীর জামিনের শুনানি হবে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর)।

এদিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এনসিবির পক্ষ থেকে। যার মধ্যে রিয়া চক্রবর্তী, সৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডারা রয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ জুন সকালে নিজ ফ্ল্যাট থেকে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে দিনই ময়নাতদন্ত করেন মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালের পাঁচ জন চিকিৎসক। তাদের রিপোর্টে লেখা ছিল, ঝুলন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু। সেই রিপোর্টে এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছিল, শরীরে অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।

সুত্রঃ আনন্দবাজার