ভোলায় পরকীয়ার টানে গৃহবধূ উধাও: প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১০:০৭ অপরাহ্ণ

ভোলায় পরকীয়ার টানে গৃহবধূ উধাও: প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
apps

দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নে দিনমজুর প্রবাসীর স্ত্রী ১৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পরকীয়া বন্ধুর সাথে উধাও। এর প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে স্থানীয় সম্মিলত জনতা।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, প্রায় ৩ বছর পূর্বে দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের শামছু চৌধুরীর মেয়ে সোনিয়া আক্তারের সাথে বিয়ে হয় দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের মৃত চেরাগআলী মাঝির ছেলে হেলাল উদ্দিনের সাথে। বিয়ের কিছু দিন পর দিনমজুর হেলাল কর্মের তাগিদে জমি জমা বিক্রি করে বিদেশে পারি জমায়। এ সুযোগে সুন্দরী স্ত্রী সেনিয়া পরকীয়া প্রেমে আবদ্ধ হয় স্থানীয় সজু মাঝির ছেলে একাধিক বিবাহিত প্রতারক শামীম নামে এক যুবকরে সাথে। দিনে দিনে গভীর হতে থাকে শামীম ও সেনিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক। এবার শামীম সোনিয়াকে একা বাসায় পেয়ে রাতের আধারে সোনিয়ার সাথে গড়ে তোলে দৈহিক সম্পর্ক।

 

এক পর্যায়ে পরবিত্তুলোভী, প্রতারক ও লম্পট শামীম সোনিয়াকে নিয়ে বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করে। এর মধ্যে তারা প্রবাসী স্বামী হেলালের সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনাও করে। এ চিন্তা করে স্ত্রী সোনিয়া প্রবাসী হেলালের কাছ থেকে জমি কেনার মিথ্যা নাটক করে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ইং তারিখে হেলাল বিদেশ থেকে বাড়ি আসার কথা শুনে, সোনিয়া শামীমকে নিয়ে জমিকেনার ১০ লক্ষটাকা ও ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও দামীয় আসবাবপত্রসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে তারা দুজন ঢাকায় পালিয়ে যায়। এর পর স্বামী হেলাল স্ত্রীকে উদ্ধার ও টাকা উদ্ধারের জন্য পর পর ২টি মামলা দায়ের করে।

সে মামলায় সোনিয়া ও শামীম কিছুদিন জেল খাটার পর জামীনে মুক্তি পায়। কিন্তু ঘটনার এত দিনেও দিনমজুর হেলাল ফিরে পায়নি তার স্ত্রী ও চুরি করে নিয়ে যাওয়া টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। বর্তমানে হতভাগা হেলাল উপায় অন্ত না পেয়ে স্থানীয় লোকজনের কামলা খেটে জীবিকা নির্বাহ করছে বলে জানাগেছে। অন্যদিক শামীম ও সোনিয়া অবৈধ ভাবে শুরু করেছে সুখের সংসার। এর প্রতবিাদে গত সোমবার বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী শামীম ও সেনিয়ার অবৈধ সর্ম্পের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। স্থানীয় ভাবে আরো জনাগেছে, এর পূর্বে একাধিক বিবাহিত প্রতারক শামীম আরো ৩টি মেয়ের জীবন নষ্ট করে তাদের থেকে হাতিয়ে নয়েছে লাখ লাখ টাকা।

অন্যদিকে সে এলাকার একাধিক লোকদের কাছে বিদেশ পাঠাবে বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদরে সাথে শুরু করেছে প্রতারণা। বর্তমানে শামীম জামিনে এসে হেলালকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকী-ধামকি অব্যাহত রেখেছে বলে আভিযোগ করেছে মামলার বাদী হেলাল। অন্যদিক এলাকায় সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলেও জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, ভূক্তভোগী দিনমজুর হেলাল ও স্থানীয় সচেতন মহল।

Development by: webnewsdesign.com