মেঘনা নদীতে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর শ্রমিক শাহীন (৩০) এর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বেতুয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মরদেহটি ভেসে উঠে। ভোলার চরফ্যাসনে শহররক্ষা বাধে কাজ করতে গিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মেঘনা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয় এ শ্রমিক। নিখোঁজ শ্রমিককে উদ্ধারে মঙ্গলবার থেকে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা অভিযান চালালেও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। শাহিন আসলামপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ গ্রামের বাদশা হাওলাদরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, নদীর তীর রক্ষায় শহর রক্ষাবাধ প্রকল্পের আওতায় জরুরি মেরামতের কাজে নিয়োজিত ২৫ শ্রমিক ভাঙ্গন কবলিত স্থানে জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজ করছিল। মঙ্গলবার ( ১৮ অক্টোবর) ওই শ্রমিকরা মেঘনা পাড়ে স্থাপন করা প্রায় ৫শ জিও ব্যাগসহ পাড় ভেঙে মেঘনায় তলিয়ে যায়। এ সময় তীরবর্তী মানুষ ২৫ জনের মধ্যে ২৪ শ্রমিককে উদ্ধার করতে পারলেও বালুভর্তি জিও ব্যাগের নিচে চাপা পরে মেঘনায় তলিয়ে যাওয়া শ্রমিক শাহিনকে উদ্ধার করতে পারেনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ডিভিশন-২) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, বেতুয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি মেরামতের কাজ করতে গিয়ে মেঘনা পাড় ভেঙে শাহীন নামের এক শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরপরই নিখোঁজ শ্রমিকে উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করলেও তার খোঁজ মেলেনি।
চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন জানান, নিখোঁজ শ্রমিকের মরদেহ মেঘনা নদীতে ভেসে ওঠার পর স্থানীরা উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই শ্রমিকের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com