ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জন জীবন বিপর্যস্থ

বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২১ | ১:৩৪ অপরাহ্ণ

ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জন জীবন বিপর্যস্থ
apps

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা আর কন কনে ঠান্ডায় মানুষ অনেকটাই ঘর বন্দী হয়ে পড়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো। অপর দিকে শীতের তীব্রতার কারণে শীত জনিত রোগ-বালাই বেড়েছে। ভূরুঙ্গামারীতে গত তিন দিন থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। সারা দিন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে ভূরুঙ্গামারীর আকাশ। সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। রাতে আরো বেশি তীব্র হচ্ছে কুয়াশা।সারারাত থাকছে তীব্র ঠাণ্ডা। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে যান বাহন গুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া, ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের মানুষ। তারা কোন মতে খর কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি- বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে যে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবি সামান্য।

বিশেষ করে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা অনেকটা দুর্ভোগে পড়েছে। চলতি ইরি-বোরো চাষের মৌসুম শুরু হলেও শীতের কারণে ক্ষেতে আমন চারা রোপণ করতে পারছেন না তারা।

গত তিন দিন থেকে শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। এমন অবস্থা আরো ৩ থেকে ৪ দিন থাকতে পারে বলে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানাগেছে।

প্রতিদিন চারশত টাকা জমায় ভাড়াতে অটো চালান হামিদুল। তিনি জানান, অটো নিয়ে রাস্তায় বেড় হইছি কিন্তু প্রয়োজন সংখ্যক যাত্রী পাচ্ছি না। গত দুই দিনে অটো মালিকের জমার টাকা রোজগার করতে পারি নাই। পরিবারের জন্য খাবার কিনতে কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানাগেছে, হাসপাতালে বর্হি বিভাগে শীত জনিত রোগীর প্রচুর ভীড় বেড়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি, এজমা, পাতলা পায়খানা সহ শীত জনিত নানা রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন রোগীরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রচন্ড ঠান্ডায় শীত জনিত রোগ বালাই বেড়েছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, শীত বস্ত্র হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ৪৬০০ কম্বল পাওয়া গেছে যা ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় ধাপে আরো দুই হাজার কম্বল পাওয়া গেছে যা আগামি এক- দুই দিনের মধ্যে বিতরণ শুরু করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com