ভূরুঙ্গামারীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছেঃ যানবাহন যোগাযোগ ব্যাহত

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২১ | ৬:১৪ অপরাহ্ণ

ভূরুঙ্গামারীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছেঃ যানবাহন যোগাযোগ ব্যাহত
apps

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভূরুঙ্গামারী বাগভান্ডার সড়কের পূর্ব বাগভান্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতুটি ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছে জনচলাচল। চরম দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।

সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে ৮টি গ্রামের মানুষ। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হবার পর দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও এগিয়ে আসেনি কেউ।

সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার কারনে পাথরডুবী ইউনিয়নের লোকজনকে উপজেলা সদরে আসতে বাড়তি প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে (অতিক্রম)করতে হচ্ছে। এতে সময় এবং অর্থ দু’টোই অপচয় হচ্ছে। যানবাহন ঢুকতে না পারায় কর্মজীবী মানুষ এবং এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এই সড়কটি ব্যবহার করেন বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্প, ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার, খামার পত্র নবীশ, মানিককাজির কিছু অংশ, ভোটহাট গ্রাম ও পাথরডুবী ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে তাই এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে নতুন একটি সেতু দ্রুত নির্মানের জন্য জোড় দাবি জানিয়েছেন।

ভেঙ্গেপড়া সেতুটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ড মেম্বার আসাদুজ্জামান এরশাদ ব্রীজটির মাঝ বরাবর মাটি ফেলে দুইপাড়ের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে জনদুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছেন। প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, কারো সহযোগিতায় নয় স্বপ্রনোদিত হয়ে নিজস্ব অর্থায়নেই তিনি মাটি ভরাট করে হালকা যানবাহন ও জনচলাচলের ব্যবস্থা করছেন।

এই ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, আমি গত ১৫ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহন করেই এই সেতুটি পুণঃ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি।তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্থ্য করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে সেতুটির স্টিমেট তৈরি করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই টেন্ডার আহবান করে ব্রীজটির নির্মানকাজ শুরু করতে পারবো।

Development by: webnewsdesign.com