ভারত থেকে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২:০২ অপরাহ্ণ

ভারত থেকে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন
ভারত থেকে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন
apps

ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এক কোটি করে এ ডিম আমদানি করতে পারবে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বাংলানিউজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷

মো. হায়দার আলী বলেন, নতুন করে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে (এক কোটি করে) ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।

তিনি বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এটি শুরু হবে। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের চার প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মেট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো, মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ , প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এনবড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং, অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড।

এদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গতমাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা করে।

দেখা যাচ্ছে, খুচরা পর্যায়ে এ দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দেখতে পেয়েছে। সেজন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা কিছু ডিম আমদানির অনুমোতি দিয়েছে। চারটি কোম্পানিকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।

কোথা থেকে আমদানি করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি কোম্পানি বলেছে যে ভারত থেকে তারা ডিম আনবে। বাকি তিনটির বিষয়ে আমার খেয়াল নেই। তবে যেকোনো উৎস থেকে তারা ডিম আনতে পারবে, যেখানে দাম কম পাবে, কিংবা যেখান থেকে দ্রুত আনতে পারবে।

আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কিনা, প্রশ্নে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। সুবিধামতো আনবে, যাতে ভোক্তারা কম দামে পান। বিক্রির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এজন্য দেশের বাজারে ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় আমিষের দাম বাড়ার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের প্রভাব পড়েনি রাজধানীর কাঁচাবাজারে।

ওইদিন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হওয়ায় আমরা এই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। প্রতি পিস ডিম এখন থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ওই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com