ভারত-চীনের ইন্টারনাল কনফ্লিক্টের প্রভাব যেন বাংলাদেশে না পড়ে- তা চীনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার সচিবালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। ভারত ও চীনকে জড়িয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এখানে ভারত ও চীনের একটা শক্তি বলয় আছে। ভারত ও চীনের ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ আছে। এটা তাদের বিষয়। আমরা আমাদের স্বার্থ নিয়ে আছি, আমরা যেন তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্ত না হই।
আওয়ামী লীগ সরকার ‘গায়ে-পড়ে’ যুক্তরাষ্টের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করবে না জানিয়ে কাদের বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলেনি যুক্তরাষ্ট্র; তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে। দুই দেশের স্বার্থই আছে এখানে। নির্বাচনের পর ম্যাথিউ মিলার বক্তব্যে দু-ধরনের কথা বলেছেন। একটি ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি’। এটাও বলেছে, ‘বাংলাদেশের প্রতি অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক রাখা আমাদের দায়িত্ব। সেখান থেকে সম্পর্ক রাখি এবং সম্পর্ক রাখার অঙ্গীকার আছে এবং সেটা করে যাব।
তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে তারা আগেও বলেছে। তবে তারা বলেনি নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। যে মন্তব্য করলে খারাপ কিছুর আশঙ্কা থাকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চীন নির্বাচনে আমাদের সাপোর্ট করেছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখাও করেছে। সবমিলে সম্পর্ক আগের চেয়ে ভালো। তাই চীনের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের দ্বন্দ্বের প্রভাব যেন বাংলাদেশের ওপর না পড়ে, যেন তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। চীনা দূত ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে চীনা রাষ্ট্রদূত চেষ্টা ও সহযোগিতা জোরদারের কথা বলেছেন।
Development by: webnewsdesign.com