বাংলাদেশর সাথে শর্তসাপেক্ষে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত। আপাতত ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। যে পদ্ধতিতে পেঁয়াজ পাঠাতে রাজি ভারত তাতে বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানিকারীরা খুব বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর রপ্তানির এই পুরো প্রক্রিয়াটি করতে হবে চেন্নাই সমুদ্র বন্দর দিয়ে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। এতে বিপাদে পড়েন ভারত থেকে এলসি করা বাংলাদেশি পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। সীমান্তের ভারতীয় অংশে আটকে পড়ে শত শত পেঁয়াজভর্তি ট্রাক। বাড়তে থাকে দাম।
মোদি সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে তারপর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির সবুজ সংকেত দেন তিনি । বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও শর্তজুড়ে দেয়া হয় বলে ফিকে হয়ে গেছে তা।
আগামী বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাঁচটি শর্তে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হলো, এই পেঁয়াজ সড়কপথে নয়, সমুদ্রপথে চেন্নাই বন্দর দিয়ে নিতে হবে। আর রপ্তানির প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে।
কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে তেমন উপকৃত হবে না বাংলাদেশ। ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক না হওয়ায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহ দেখাবেন না বলেও মনে করেন তারা।
Development by: webnewsdesign.com