ভারতের দুই করোনা টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের, কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২১ | ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

ভারতের দুই করোনা টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের, কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন
apps

বাজার ধরার যুদ্ধে এবার কার্যত সম্মুখ-সমরে অবতীর্ণ হল ভারতের প্রথম দুই করোনাভাইরাস টিকা। নাম না করে কোভ্যাক্সিনকে যে কটাক্ষ ছুড়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই), তার পাল্টা জবাব দিল ভারত বায়োটেক।

সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এল্লা দাবি করলেন, কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধামাচাপা দিতে স্বেচ্ছাসেবকদের প্যারাসিটামল দিয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা (অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছে ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা। ভারতে উৎপাদন করছে সেরাম)।

কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর থেকেই ভারতীয় টিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পর্যাপ্ত তথ্য ছাড়াই অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাক্সিন। যা শেষ পর্যন্ত হিতে-বিপরীত হতে পারে। সেই রেশ ধরে এনডিটিভিকে সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা দাবি করেন, সারাবিশ্বে মাত্র তিনটি করোনাভাইরাস টিকার (অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রোজেনেকা, ফাইজার এবং মর্ডানার টিকা) কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। বাকি কোনও টিকার কার্যকারিতা সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ নেই, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত, রাশিয়া, ইউরোপ-সহ বাকি সমস্ত টিকা ‘পানির মতো নিরাপদ’। সেগুলোর কার্যকারিতা এখনও প্রমাণিত হয়নি বলে দাবি করেন সেরামের সিইও।

কারও নাম না করলেও সেরাম কর্তার নিশানায় যে ‘প্রতিপক্ষ’ ভারত বায়োটেক ছিল, তা একেবারেই স্পষ্ট ছিল। তবে সেরামের সেই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত বায়োটেকও।

সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এল্লা বলেন, “ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নিশানা করা সহজ কাজ। এটা আমায় বলতে হচ্ছে, কারণ অন্য একটি সংস্থা (সেরাম) আমার টিকাকে পানির মতো নিরাপদ বলেছে। সংবাদমাধ্যমে একটি স্থানীয় সংস্থা জানিয়েছে যে অন্যান্য সংস্থার সুরক্ষা হল পানির মতো নিরাপদ। শুধুমাত্র তিনটি সংস্থা (টিকার) কার্যকারিতার পরীক্ষা করা হয়েছে এবং অন্যান্য টিকা হল পানির মতো। আমি সেটা খারিজ করছি। বিজ্ঞানী হিসেবে এরকম মন্তব্য কষ্টজনক। আমরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করি এবং মানুষের পক্ষ থেকে এরকম সমালোচনার যোগ্য নই।”

সেখানেই শেষ হয়নি কাদা ছোড়াছুড়ি। অক্সফোর্ডের টিকার ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ভারত বায়োটেকের কর্তা। তিনি বলেন, “আপনারা ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রোজেনেকার ক্নিনিকাল ট্রায়াল নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ নাকি ৯০ শতাংশ – ট্রায়ালের কার্যকারিতা কতটা? কেউ জানেন না। কেউ বলেন, বেশি ডোজ, কম ডোজ, বেশি ডোজ বা কম ডোজ। যদি আমরা ভারতে ওরকম ট্রায়াল চালাতাম, তাহলে গুণমানের ভিত্তিতে সংস্থা বন্ধ করে দিত ড্রাগস কন্ট্রোলার অব ইন্ডিয়া।”

সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশেরও কম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে তা ৬০-৭০ শতাংশ হয়েছে। আমি আশ্বস্ত করতে পারি যে আমাদের টিকা ২০০ শতাংশ সুরক্ষিত।” সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Development by: webnewsdesign.com