অনেকেই কুকুর পালতে পছন্দ করেন। মূলত পোষা প্রাণীর ওপর অনেকেরই ভালোবাসা-আবেগ থাকে এবং সেই আবেগ থেকেই তারা বাড়িতে কুকুর আনতে চায়। বাড়িতে কুকুর আনা সিদ্ধান্ত যদি নিয়ে থাকেন। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিচের পাঁচটি তথ্য জেনে রাখা দরকার। কেননা, ওর যত্নের যেন কোনো ত্রুটি না হয়, সেটি বিষয়টি নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব।
কুকুরের ভিন্ন জাত নিয়ে খোঁজখবর
সারা পৃথিবীতে কুকুরের স্বীকৃত জাত আছে ৩৫০টিরও বেশি। তবে মিশ্র কয়েকটি জাতসহ বিজ্ঞানীদের জানাশোনার বাইরের সবগুলো জাত নিয়ে গুনতে বসলে এই সংখ্যা ঠেকবে হাজারের ঘরে গিয়ে। অবশ্যই কুকুর পোষার ইচ্ছা থাকলে বিভিন্ন জাতের কুকুর নিয়ে একটু লেখাপড়া করে নিলে ভালো হয়।
বিভিন্ন জাতের কুকুরের বৈশিষ্ট্য ও চরিত্র বিভিন্ন রকমের হয়। জাত নিয়ে জানাশোনা থাকলে আপনার বাড়ির পরিবেশ বিবেচনায় কোন জাতের কুকুরটি উপযুক্ত হবে, তা বুঝতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কুকুরের আকার এবং এর কী কী প্রয়োজন, সেগুলো বিবেচনায় আনুন। পোষা কুকুরটির যে জাতই পছন্দ করুন না কেন, সেটি যেন আপনার স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনোরূপ সমস্যা সৃষ্টি না করে, সেটি খেয়াল রাখবেন।
আর্থিক পরিকল্পনা
পোষা কুকুর কেনার আগে একটা আর্থিক পরিকল্পনা সাজানো দরকার। কুকুরের ভালো থাকা নির্ভর করে খাবার থেকে শুরু করে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা—এ রকম অনেক বিষয়ের ওপর। কুকুরের ভালোর জন্য প্রয়োজনীয় সব আয়োজন করতে হলে অনেক সময় দেখা যায় বেশ ভালো পরিমাণ অর্থও খরচ করতে হয়। পোষা প্রাণীর পেছনে করা ব্যয় যেন আপনার বাজেটের মধ্যে হয়, সে জন্য আগে থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ আর্থিক পরিকল্পনা করে নিন। যাতে করে পোষা পানির জন্য কখনো আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও অভাব অনুভব করতে না হয়।
মনোযোগ দেওয়ার মানসিকতা
কুকুরের গড় আয়ু খুব বেশি না, মাত্র ১৩ বছর। ছোট্ট এই জীবনে তার মালিকের কাছ থেকে একটি কুকুরের প্রয়োজন আজীবনের ভালোবাসা, প্রতিশ্রুতি, বিশ্বাস ও মনোযোগ। নিজের সন্তানের মতো পোষা কুকুরটির যত্ন নিতে হবে। কুকুরের সব চাহিদা পূরণ করতে হবে। তাই কুকুরটির জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতাও তৈরি করে ফেলুন। সকালে-বিকেলে আপনার পোষা কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে বের হোন। পোষা কুকুরের সঙ্গে খেলুন। তার সঙ্গে সঙ্গ দিন। তার আপনার প্রতি আস্থা ও ভরসা তৈরি করুন। সব সময় তার বিশেষ যত্ন নিন।
‘পেট প্রুফিং’ ‘ডগ ট্রেনিং’ দেওয়া
পেট প্রুফিং মানে হলো পোষা প্রাণীটির জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা। কুকুরটি যেহেতু সারাক্ষণ আপনার বাড়িতেই থাকবে, সেহেতু আপনার থাকার জায়গা বা শয়নকক্ষ থেকে বিষাক্ত বা অনিরাপদ জিনিসগুলো, যেমন ক্লিনিং এজেন্ট, বিষাক্ত খাবার, কসমেটিকস বা খেলনা ইত্যাদি সরিয়ে ফেলুন।
ডগ ট্রেনিং মানে কুকুরকে সুশৃঙ্খলভাবে বিভিন্ন আচরণ শেখানো। আপনার যদি কুকুরছানা থাকে, তাহলে সেটির ডগ ট্রেনিং অবশ্যই দরকার। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে এবং খারাপ অভ্যাস থেকে কুকুরকে দূরে রাখতে যথাযথ ডগ ট্রেনিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।
পশু চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ
স্বাভাবিকভাবেই সবারই চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তেমনই কুকুরের স্বাস্থ্যের যত্নও নিতে হবে। টিকাদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এগুলো যেন নিয়মিত হয়, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হতেই পারে। সবসময় একজন অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন।
Development by: webnewsdesign.com