সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা কবিতা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নির্বাহী সদস্য হওয়ার পর তার প্রায় ২ দশক আগের বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। একাধিক ছবিতে দেখা যায়, বিএনপি নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বা বসে আছেন তিনি।
তবে এই আইনজীবীর দাবি, তিনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত ছিলেন। এ কারণে সে সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছবি তুলেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হতে চেয়েছিলেন। দলীয় মনোনয়ন ফরমও জমা দিয়েছিলেন।
ফেসবুকে ভাইরাল একাধিক ছবিতে দেখা যায়, ছবিগুলো খালেদা জিয়ার সে সময়ের বাসভবন ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডে তোলা। দুটি ছবিতে মৌসুমী কবিতা দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর একটি ছবিতে দেখা যায়, খালেদা জিয়া একটি চেয়ারে বসে আছেন। আর মৌসুমী কবিতা মাটিতে বসে সে চেয়ারের হাতল ধরে রেখেছেন।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির মেয়ে চৌধুরী কবিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি অনার্স, মাস্টার্স ও এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি অনার্স ও বিপিটিসি’র পর লিংকন ইন থেকে অর্জন করেছেন বার-অ্যাট-’ল। ২০০২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হন। এর পর ৯ নভেম্বরের ২০০৩ সালে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় সক্রিয় ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী কবিতা বর্তমানে ইউজিসি, বিডব্লিউডিবি, বিটিসিএল, বিজিএফসিএল, সোনালী ব্যাংক, আরপিসিএল ও সোনালী ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানতে চাইলে চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা কবিতা বলেন, আমি কবে কোথায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এটা কি কেউ বলতে পারবে? আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অবশ্যই মিথ্যা।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে সকল আমলের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার ছবি আছে। এরশাদের সঙ্গেও ১৯৮৯ সালের আমার ছবি আছে। এছাড়া রওশন এরশাদের সঙ্গেও আমার ছবি আছে। যে ছবিগুলো ভাইরাল হয়েছে, সে ছবিগুলো আছে, এগুলো আসলে আমি পুরস্কার নেয়ার সময় তোলা। ছোটবেলা থেকে আমি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম। এ কারণে সব আমলের সরকার প্রধানের সঙ্গেই আমার ছবি আছে। ছোট থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে বেড়ে উঠেছি। যুবলীগের সদস্য হিসেবে নিজের সেরাটুকু দিয়ে দলের জন্য কাজ করে যাবো।
Development by: webnewsdesign.com