বিনোদন ডেস্ক
ছোট পর্দায় বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমী হামিদ। ধারাবাহিক ও খন্ড নাটক দুই ক্ষেত্রেই সমানতালে এ অভিনেত্রী কাজ করছেন বলে জানান। তার ভাষ্য, অভিনয় ছাড়া তো আর কিছু করার নেই। অভিনয় করেই আমাকে চলতে হয়। তবে শুধু অর্থের জন্য অভিনয় করি না। যদি কেউ এমনটা ভাবেন তাহলে সেটা ভুল। নিজের দায়িত্ববোধ থেকেও অনেক কাজ করি। আগামীতেও এভাবে কাজ করতে চাই।
সম্প্রতি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘শেষ দেখা’। এরইমধ্যে এটি দর্শকমহলে দারুণ সাড়া ফেলেছে। এদিকে খুব শিগগির আরটিভিতে প্রচারে আসবে মৌসুমী হামিদ অভিনীত ‘তোলপাড়’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক নাটক। এছাড়া তার হাতে আরো আছে মজিবুল হক খোকনের ‘ডিগবাজি’, এস এ হক অলিকের ‘জায়গীর মাস্টার’, নজরুল ইসলাম রাজুর ‘বিষয়টি পারিবারিক’, মীর সাব্বিরের ‘চোরাকাঁটা’ ধারাবাহিকগুলি।
এ সময়ের টিভি ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকের কাছ থেকে নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যায়। এ বিষয়ে মৌসুমীর ভাষ্য জানতে চাইলে বলেন, এখন আমাদরে অনেক টিভি চ্যানেল। প্রায় সব চ্যানেলে প্রতিদিন বিভিন্ন ধারাবাহিক নাটক প্রচার হয়। চ্যানেলের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে নাটকের সংখ্যাও। বিশ্বের কোথাও সব কাজ ভালো হয় এটা কেউ বলতে পারবে না। সংখ্যা বাড়লে কিছু কাজ খারাপ হবে এটা মেনে নিতে হবে। আমাদের টিভি ধারাবাহিকের সংখ্যা বেশি হওয়াতে সবাই একটি মাত্র নাটকে সীমাবদ্ধ নেই। তবে এটা বলতে পারি দর্শক আমাদের নাটক দেখে। গেল কয়েক বছর ধরে আমাদের টিভি নাটকের দর্শক ভারতীয় সিরিয়ালমুখী। এ প্রসঙ্গে মৌসুমী হামিদ বলেন, ভারতীয় সিরিয়ালের মতো যদি আমাদের নাটক নির্মাণ হয় তাহলে দর্শক তা দেখবে বলে মনে হয় না। সত্যি বলতে আমরা বিদেশি অনেক কিছু দেখতে পছন্দ করি। কিন্তু তাদের মতো করতে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না।
আমাদের নাটকের নিজস্ব একটা ভাষা আছে। আমাদের নাটকগুলো দেশীয় সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করেই নির্মাণ হচ্ছে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারের এ সময়ে কোন বিষয়গুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন মৌসুমী? তিনি বলেন, গ্ল্যামারাস আর গতানুগতিক কাজ ছেড়ে দিয়েছি। এ সময়ে ব্যতিক্রম কিছু করতে চাই। গ্ল্যামারাস চরিত্রে কাজ করার জন্য আমাদের অনেক শিল্পী আছেন। আমি চাই ভিন্ন কিছু দিতে। যেগুলো আমাকে দর্শকের সামনে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিদেশ ফেরত মেয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া প্রতিবাদী ছাত্রী, কারওয়ান বাজারে হোটেলের বোর্ডারদের খাবার সরবরাহকারীর চরিত্রসহ বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি চলতি বছর। ছোট পর্দার বাইরে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন এ অভিনেত্রী। চলতি বছরে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় তার ‘ভালোবাসার রাজকন্যা’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।
এতে তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন মডেল-অভিনেতা শিপন মিত্র। ছবিটি নির্মাণ করেছেন রাজু আলীম। দীর্ঘদিন পর এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় ফিরেছেন ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘গোর’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র। এটি নির্মাণ করেছেন অভিনেতা ও নির্মাতা গাজী রাকায়েত। এছাড়া তার হাতে আছে আরিফুর জামানের ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ নামের একটি চলচ্চিত্র। এতে তিনি রাজলক্ষীর চরিত্রে অভিনয় করছেন বলে জানান। ‘জালালেরর গল্প’, ‘ব্লাকমেইল’ ও ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি’সহ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হন এই অভিনেত্রী। তবুও চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি কম কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে উপস্থিতি কম এটি নিয়ে আমি হতাশ নই। তবে আমি জানি না কেন আমাকে ডাকেন না নির্মাতারা। আমার অভিনীত সব ছবি দর্শক প্রশংসিত হয়েছে। এরপরেও আমি চলচ্চিত্রে নিয়মিত নেই। অনেকের মতো আমি চলচ্চিত্রের নির্মাতাদের সঙ্গে লেজুড়বৃত্তি করতে পারি না। এ কারণেই হয়তো আমার ছবির সংখ্যা কম।
Development by: webnewsdesign.com