বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও রেমিটেন্সে বাংলাদেশের রিজার্ভে রেকর্ড

শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১ | ৫:০৪ অপরাহ্ণ

বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও রেমিটেন্সে বাংলাদেশের রিজার্ভে রেকর্ড
apps

মহামারি করোনাভাইরাসে স্থবির পুরো বিশ্ব। বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিরা রেকর্ডসংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ পৌঁছেছে ৪৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারে, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এ রিজার্ভ দিয়ে আগামী প্রায় ১১ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করেছ।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বেড়েছে ১২ কোটি ৬২ লাখ ডলার।

এর আগে চলতি বছরের ১ জুন দিন শেষে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে। তার আগে ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে। ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ৪৪ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন।

আর ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।

অন্যদিকে, রিজার্ভে রপ্তানি আয়েরও প্রভাব আছে। চলতি অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে ৩৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশ। যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।

Development by: webnewsdesign.com