বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে রাজশাহী বেতারের কর্ম বিরতি পালন

বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ৫:০২ অপরাহ্ণ

বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে রাজশাহী বেতারের কর্ম বিরতি পালন
apps

সচিবালয়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, হাইকোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রধান সহকারী, অফিস সহকারী, উচ্চমান সহকারী পদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। অথচ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তিনবার সুপারিশ করা সত্তেও সারাদেশের অন্যান্য সরকারী দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত বর্ণিত পদগুলো আগের পদবী ও বেতন স্কেলে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারী কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে বক্তারা কথাগুলো বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব বনি আমিন, সদস্য জুলফিকার আলী, আ. রাজ্জাক, মীর মোশাররফ হোসেন, সাবিনা ইয়াসমিন, বুলবুল আহমেদ, আতিক হাসান, রুপেন চন্দ্র ঘোষ, ফারজানা, মুরাদ হোসাইনসহ বাংলাদেশ বেতার রাজশাহী কেন্দ্রের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, হিসাব রক্ষক, হিসাব রক্ষক কাম-ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক, ষাঁট-লিপিকার, অনুষ্ঠান সচিব, নিজস্ব শিল্পীসহ সমপদের কর্মচারীগণ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে। এ সময় রাজশাহী বেতারের অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভিতরে ও বাহিরে সরকারী দপ্তরের প্রধান সহকারী ও উচ্চমান সহকারী সমপদের পদবী ও বেতন স্কেল এক এবং অভিন্ন ছিল। ১৯৯৫ সালের প্রজ্ঞাপন দিয়ে তৎকালীন সরকার, শুধু সচিবালয় বর্ণিত পদগুলো প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবী সহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ফলে সরকারী দপ্তরগুলোর মধ্যে পদবী ও বেতন বৈষম্য সৃষ্টি হয়। অথচ বাংলাদেশ বেতারের নিয়োগ বিধি (উচ্চমান সহকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে) সচিবালয়ের সাথে এক এবং অভিন্ন। অর্থাৎ একই নিয়োগে বিধিতে নিয়োগপ্রাপ্ত সচিবালয়ের উচ্চমান সহকারীগণ এখন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আর বাংলাদেশ বেতারের উচ্চমান সহকারীসহ সমপদের অধ্যবধি উচ্চমান সহকারীই রয়ে গেছেন।

Development by: webnewsdesign.com