বিসিএসের ২৭ জনকে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ নির্দেশ:হাই কোর্ট

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২০ | ৬:৩৮ অপরাহ্ণ

বিসিএসের ২৭ জনকে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ নির্দেশ:হাই কোর্ট
apps

নিয়োগবঞ্চিত ৩৪ ও ৩৫তম বিসিএসের ২৭ জনকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ করা তারিখ থেকেই তাদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।
নিয়োগবঞ্চিতদের করা তিনটি আলাদা রিট আবেদনে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেয়।

 

 

 

নিয়োগবঞ্চিত ২৭ জনের মধ্যে ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একজন এবং ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৬ জন।
আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সালাহ উদ্দিন দোলন, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়াইশ-আল-হারুনী।

 

 

৩৫তম বিসিএসের নিয়োগবঞ্চিতরা হলেন- রীনা খানম, মোহাম্মদ ফয়সাল আকবর, জান্নাতুন নেছা, এস.এম আশিকুর রহমান শিমুল, সাদিয়া আফরীন সুমাইয়া, মো. আবদুল্লাহ তারেক, মো. আবদুল্লাহ আল জোবাইর, মুসানাহ আশফাক, ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, খালেদ সাইফুল্লাহ, মো. আবু রোহানী পারভেজ রনি, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. আবদুস সালাম, মো. আবু বকর, মুহসিনুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, মো. ফরহাদ হোসেন, মুনমুন আহমেদ, মনিরুল হক, মো. আমিনুর রহমান, মো. রকিব উদ্দিন, মো. নাসরুল্লাহ হোসাইন, মীর ফয়সাল আলী, মো. মোজাম্মেল হাসান, মাহমুদা খাতুন ও মো. জাভেদ হাবিব।

 

 

 

আর ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর নিয়োগবঞ্চিত ছিলেন মো. রাকিবুল আলম।
২০১৬ সালের ১৭ অগাস্ট ৩৫তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২১৫৮ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ করে। এরপর ২১১৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি ৪০ জনকে নিয়োগ দেয়নি সরকার।
নিয়োগ বঞ্চিতদের মধ্যে ২৬ জন হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। তার আগে ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ একজনও রিট আবেদন করেছিলেন।
রায়ের পর আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ৩৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্যে ২১৫৮ জনকে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালে ৫টি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২১১৮ জনকে নিয়োগের জন্য আদেশ জারি করে।

 

 

 

 

“কিন্তু রিট আবেদনকারী ২৬ জনের নামও প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ করেনি মন্ত্রণালয়। এ কারণে ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে ও নিয়োগের আরজি জানিয়ে হাই কোর্টে আলাদা দুটি রিট আবেদন করেন তারা। তার আগে ৩৪তম বিসিএসের একজন আগেই রিট আবেদন করেছিলেন। সবমিলিয়ে পৃথক তিনটি রিট আবেদনে ২৭ জনকে নিয়োগ দিতে রায় দিয়েছেন আদালত।”
আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, “সুপারিশ করার পরও তাদেরকে নিয়োগ না দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে তাদের চাকরির বয়সসীমা পার করে দেওয়া। আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে তাদেরকে নিয়োগ দিতে বলেছেন। যে সময়ে তাদের সাথে উত্তীর্ণ অন্যরা নিয়োগ পেয়েছেন সেই তারিখে তাদেরও নিয়োগ দিতে হবে।”
আর আদালতের রায় পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এই নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।

Development by: webnewsdesign.com