হঠাৎ মধ্যরাতে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (৫ জুলাই) মধ্যরাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডের কলেজ এভিনিউ তিন মাথা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র রাইদুল ইসলাম নিরবকে মারধর করে স্থানীয় যুবকরা। যার প্রতিবাদে সেখানে সড়ক অবরোধও করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাসে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। যদিও এর আগেই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ দুই ভাগে বিভক্ত হয়। যা নিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে সামনা সামনি ও মোবাইল ফোনে তর্কবিতর্কও হয়। একপর্যায়ে মধ্যরাতে হঠাৎ করেই ছাত্রলীগের পৃথক দুপক্ষের মধ্যে প্রকাশ্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে গোটা ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর এ ঘটনায় উভয়পক্ষের সাতজন আহত হন।
ছাত্রলীগের একাংশের নেতা ময়িদুর রহমান বাকিসহ তার অনুসারী ছাব্বির হোসেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অপরদিকে অপরাংশের ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাত ও সৈয়দ রুম্মান ইসলামসহ তাদের অনুসারী তমাল, মেহেদি হাসান ও আল সামাদ শান্ত নামে মোট ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অমিত হাসান রক্তিম বলেন, সিফাত গ্রুপের হামলায় আহত হয়ে তাদের সহপাঠী মহিদুর রহমান বাকি ও ছাব্বির হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।সৈয়দ রুম্মান ইসলাম বলেন, তিনিসহ আহতরা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাদের ওপর হামলা ও পাল্টা হামলার কারণ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।
এই বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে হঠাৎ করেই দুদল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। রাতেই খবর পেয়ে আমরা ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখার পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখার কার্যক্রম শুরু করেছি। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সবাই বিষয়টি নিয়ে বসবেন বলেও জানান তিনি।এদিকে রাতের এ ঘটনায় থানা পুলিশের কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার পাশাপাশি হাসপাতালে যান বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মেহেদি হাসান।
Development by: webnewsdesign.com