বিরামপুরে গরু ব্যবসায়ী খাদেমুল হত্যার প্রধান আসামি শাহিন গ্রেপ্তার

রবিবার, ২৯ মে ২০২২ | ১:২৯ অপরাহ্ণ

বিরামপুরে গরু ব্যবসায়ী খাদেমুল হত্যার প্রধান আসামি শাহিন গ্রেপ্তার
apps

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দিনাজপুরের বিরামপুরে গরু ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সায়েম আলী ওরফে শাহিন আলীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার শাহীনকে শনিবার বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে হত্যার দায়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন শাহিন। আসামি সায়েম আলী ওরফে শাহিন পৌর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লার মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার দিনাজপুর আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে শাহিন বলেন, চলতি মাসের ১৭ তারিখ রাতে নিহত খাদেমুল বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় শাহিন নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। খাদেমুল বাড়িতে প্রবেশের সময় পাসথেকে একটি ইটের আদলা দিয়ে সজোরে পিঠে আঘাত করেন। আচমকা আঘাতে খাদেমুল অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান। এ সময় খাদেমুল এর কাছে থাকা গামছা তিন টুকরো করে খাদেমুলের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ওই বাড়িতে থাকা একটি লোহার শাবল দিয়ে মাটি খুঁড়ে খাদেমুল কে পুঁতে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

আদালতে শাহিন বলেন, বিরামপুর পূর্বপাড়া এলাকায় দুজনেরই বাড়ি। শাহিনের বাড়ির সামনে নিহত খাদেমুল এর দুই শতাংশ জমি আছে। ওই জমিটির মালিকানা নিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে উভয়পক্ষের মামলা চলছিল। সম্প্রীতি ওই জমিটি খাদেমুল স্থানীয় অন্য এক ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। জমিটি অন্য কেউ নিলে শাহিন বাড়ি থেকে বেরুনোর রাস্তা থাকবে না ভেবে খাদেমুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৭ মে) সন্ধায় ঘরে তালা লাগিয়ে বাহিরে যাওয়ার পর থেকে খাদেমুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে না পেয়ে রবিবার (২৪ মে) থানায় একটি জিডি করেন।

জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহার রঞ্জন বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে নিখোঁজ খাদেমুলের বাড়িতে অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রাচীর সংলগ্ন টিউবওয়েলের নালার পাশে বালুভর্তি বস্তার পাশ থেকে দুর্গন্ধ পাই। সন্দেহ হলে ওই স্থান থেকে বস্তা সরানো হলে গর্তে বস্তাবন্দী অবস্থায় খাদেমুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এঘটনায় ওই দিন নিহতের মেয়ে জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে পিতাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার দায়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। পরে, পুলিশ বিস্তর তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার মূল আসামী সায়েম আলী ওরফে শাহিনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। শাহিন আলীর দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ইটের আদলা, মাটি খোড়ার কাজে ব্যবহৃত শাবল ও শাহিনের বাড়ি থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

Development by: webnewsdesign.com