করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া ১১ দফা নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ জারি করা হলেও মানা হচ্ছে না লঞ্চ সার্ভিসে। বরগুনা টু ঢাকা-আমতলী টু ঢাকা নৌরুটের লঞ্চগুলো বিধি উপেক্ষা করে অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতো চলছে।
রবিবার(১৬ জানুয়ারি) বরগুনা নদী বন্দর ও আমতলী লঞ্চঘাট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে একদিকে যেমন লঙ্ঘন হচ্ছে নিয়ম, তেমনি রয়েছে সংক্রমণ বিস্তারের আশঙ্কা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা বিস্তার রোধে ১০ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সব ধরনের জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী ধারণ, চালক ও সহকারীদের করোনার টিকার সনদধারী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। ১৩ তারিখ থেকে দেশব্যাপী বিধি কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবে বিধি আরোপের চতুর্থ দিনে লঞ্চে গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠানামা করা হচ্ছে। লঞ্চের ভেতরেও যাত্রীদের গাদাগাদি অবস্থান। দুপুর তিনটে বিকেল চারটায় বরগুনা থেকে দুইটি লঞ্চ আমতলী থেকে বিকেল চারটায় ইয়াদ ১ লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দুটি লঞ্চই যাত্রীদের গাদাগাদি করে ওঠানামা করতে দেখা যায়। এর আগে সকালে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রাজহংস ৮ ও পুবালি ১ ঢাকা থেকে আমতলী উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইয়াদ ১ এ একই চিত্র দেখা যায়। লঞ্চের ভেতর মাস্ক ছাড়াই অবস্থান করেন যাত্রীসহ লঞ্চের সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা বরগুনা ঢাকা আমতলী নৌরুটের লঞ্চে এদিন যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকলেও মাস্ক পরায় অধিকাংশ যাত্রী ও চালক সুকানিকে উদাসীন দেখা যায়। মাস্ক পরার বিষয়ে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা নানা অজুহাত তুলে ধরেন। অনেকে বিধি আরোপের বিষয়ে অবগত নয় বলেও জানান।
এদিকে নির্দেশনা উপেক্ষা করা হলেও প্রশাসন কিংবা ঘাট কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটি বরগুনা লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মামুন অর রশীদ বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে যাত্রীদের মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে, তারাই উদাসীন থাকছে। আগামীকালকে মোবাইল কোর্টের এর ব্যবস্থা করব।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিয়া শারমিন বলেন, বিধিনিষেধ কার্যকরের জন্য সব জায়গায় মাইকিং করা হয়েছে। লঞ্চঘাটের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিধিকার্যকরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com