মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিদেশ ফেরত আব্দুস সালামের কূল বরই ফলনে ভাগ্য বদলের আশায় মুখে হাসি ফুটেছে। তার এই বরই বাগান দেখে আগ্রহী হচ্ছে পৌর এলাকারসহ উপজেলার অনেক যুবক ও কৃষকেরা।
জানা যায়,কমলগঞ্জ পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের কুমড়াকাফন গ্রামের কৃষক আব্দুল খালিকের ছেলে আব্দুস সালাম। জীবিকার তাগিদে ভাগ্য বদলের আশায় দালাল চক্রের মাধ্যমে বিদেশ গিয়েছিলেন। বিদেশ যাবার প্রায় তিন বছর পর খালি হাতে দেশে ফিরে আসেন। দেশে আসার পর আব্দুস সালাম চাকরিসহ বিভিন্ন কাজের সান্ধানে পিছনে ছুটাছুটি করে না পেয়ে। এ-সময় সোস্যাল মিডিয়া ও ইউটিউব দেখে আব্দুস সালাম তার বাড়ির পাশে পৈত্রিক ৩০ শতাংশ জমিতে কুল চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।চলতি বছরের মে ও জুন মাসে তার ছোট ভাই সাবেদ আলীর সহযোগিতা তিনশ’বল সুন্দরী কুল বরইয়ের চারা এনে ওই জমিতে রোপণ করেন তিনি। সালাম ও তার ভাই সাবেদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরিচর্যায় মাত্র ছয় মাসের মাথায় ডিসেম্বরে সবকটি গাছেই কুল ধরে। এখন প্রতিটি গাছে ঝুলছে পাকা কুল। এই কুল বরই দিয়েই ভাগ্য পাল্টানোর আশায় আব্দুস সালামের মুখে হাসি ফুটেছে। কুল চাষে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে সালাম আসা করছেন প্রায় একলক্ষ টাকার অধিক বল সুন্দরী কূল বরই বিক্রি করতে পারবেন। তবে এই কুল চাষে তেমন খরচ নেই বলে জানান সালাম। শুধু চারা সংগ্রহ করতেই সমস্যা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,অস্ট্রেলিয়ান জাতের বল সুন্দরী গাছের প্রতিটিতে থোকায় থোকায় কুল ঝুলছে। সুস্বাদু বাহারি রংয়ের কুল। বল সুন্দরী কুল চাষ করে সালাম এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
আব্দুস সালাম বলেন, ফেইসবুক ও ইউটিউব দেখে উদ্যোগ নেই আমি। এরপর সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে কুল চাষের জন্য ৩০ শতাংশ জমিতে বল সুন্দরী কুলের চাষ শুরু করি। ভাবিনি প্রথম বছরেই এতো ফলন হবে। ইনশাআল্লাহ আগামীতে কষ্ট করে হলেও আরো বড় ভাবে কূল বরই চাষের চেষ্টা করবো। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে আমার উপকার ও সহজে চাষ বল সুন্দরী কূল বরই চাষ করতে পারবো। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি র্কসর্কতা মো: জনি খান বলেন,আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। যেহেতু এখন জানতে পেরেছি খুজ নিয়ে আমরা আব্দুস সালামকে আমাদের সর্বাতক দিয়ে সহযোগীতা করার চেষ্টা করবো।
Development by: webnewsdesign.com