উদ্ধার তৎপরতা, মুমূর্ষু রোগী যাতায়াত ও পার্বত্য এলাকায় পর্যবেক্ষণ বা নজরদারি বাড়ানোর জন্য অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার কিনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার পেতে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম জানান, আগামী ১৭ জানুয়ারি রাশিয়ার কোম্পানি ‘জেএসসি রাশিয়া’ থেকে সরকারি (জি-টু-জি) পর্যায়ে কেনা এ দুটি হেলিকপ্টার বাংলাদেশে এসে পৌঁছার কথা।
বিজিবি সূত্র জানায়, এই দুটি হেলিকপ্টারের প্রতিটিতে একজন স্টুয়ার্ডসহ ২৬ জন যাত্রী পরিবহন ও পণ্য পরিবহনের সুবিধা রয়েছে। হেলিকপ্টার চালানোর কারিগরি সহযোগিতাও দেবে জেএসসি রাশিয়া। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতির হেলিকপ্টার দুটির প্রতিটির ওজন প্রায় ১৩ হাজার কেজি। দুর্ঘটনায় পড়ার হার কম হওয়ায় দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি বাড়াতে এমআই ১৭১ ই সিরিজের দুই হেলিকপ্টার বিজিবির আধুনিক পথচলাকে নিশ্চিত করবে। এ হেলিকপ্টার দুটি পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বিওপি নির্মাণে সহায়তা, রেশন দ্রব্য ও লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছাতে, বাহিনীর অসুস্থ সদস্যদের হাসপাতালে পৌঁছানো, জরুরি উদ্ধার অভিযান ও অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে বিজিবির এয়ার উইং গঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর নানা উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১০ মে বিজিবির জন্য রাশিয়া থেকে দুটি হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই দিন অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিজিবি সদর দফতরে ‘জেএসসি রাশিয়া হেলিকপ্টারস’-এর সঙ্গে এই বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও জেএসসি রাশিয়া হেলিকপ্টারসের আন্দ্রে ফোর্তে নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিজিবি সদর দফতর সূত্র জানায়, আধা সামরিক এ বাহিনীটিকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি কিনে দিচ্ছে। সম্প্রতি বিজিবির জন্য কেনা হয়েছে আধুনিক, যুগোপযোগী ও কার্যকর ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র। ১২টি আর্মাড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) এবং ১০টি রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যালও কেনা হচ্ছে। সীমান্তের স্পর্শকাতর আইসিপি-এলসিপিসমূহে ভেহিক্যাল এক্স-রে স্ক্যানার মেশিন স্থাপন এবং ‘বিজিবি ডগ স্কোয়াড’ গঠন করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com