বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০ | ৪:৩৫ অপরাহ্ণ

বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ
apps

ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে মালেকা বানু উচ্চ বিদ্যালয় ভোটদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অতীতে আমরা যে অভিযোগ করেছি সে অভিযোগ সত্যি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ঢাকার বাইরে গাজীপুর, সাভারসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে জড়ো করছে। ভোটাররা সেখানে ভয়ে ভোট দিতে পারছে না। শুধু তাই নয়, ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না। আমাদের আমাদের পোলিং এজেন্ট দের মারধর করে বের করে দিয়েছে। অনেক ভোটকেন্দ্রে ভোটার তো দূরের কথা ধানের শীষের এজেন্টদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, উত্তরা রাজউক কলেজে ৮টি ইভিএম মেশিন এর মধ্যে চারটি নষ্ট। সেখানে সাংবাদিকরা প্রবেশকালে তাদের বাধা দেয়া হয়। নবাব হাবিবুল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই কেন্দ্রের ভোটার না হওয়ায় ধানের শীষের এজেন্টকে ঢুকতেই দেয়নি দেয়নি পুলিশ। যা নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। এই হচ্ছে ভোটের অবস্থা। তারা কোনভাবেই চায় না জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। জনগণ ভোট দিতে আসতে পারলে অবশ্যই ধানের শীষে ভোট দেবে।

ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রবেশপথে নৌকার কৃত্রিম লাইন তৈরি করে রাখা হয়েছে। যার কারণে ভোটাররাও ভয়ে প্রবেশ করতে পারছে না। এটা কিসের আলামত?

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকে। কিন্তু এবার ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। অনেকে চাকরি করে, তারা ভোট দিতে আসবে না। এখানে সবকিছু ওপেন স্টাইলে চলছে। আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ বাহিনী সব একাকার হয়ে ভোট দখলের চেষ্টা করছে।

গত ৯ জুলাই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর এই আসনটি শূন্য হয়।

এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৮ জন। এতে ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হাবিব হাসান, বিএনপির এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন সরকার, গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ওমর ফারুক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) মবিবুল্লাহ বাহার।

Development by: webnewsdesign.com