বাড়ি নয়, যেন মৌমাছিদের গ্রাম

শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২০ | ১:৩৬ অপরাহ্ণ

বাড়ি নয়, যেন মৌমাছিদের গ্রাম
apps

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গুরুমশৈল গ্রামের সফল মৎস্য খামারী সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জাকির হোসেন সরকারের খামার বাড়িতে ২০ টি চাকে মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। গত ৫ বছর ধরে শীতকালে এই বাড়ির চারপাশের কার্নিশে এভাবে মৌমাছি চাক বাঁধে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুরুমশৈল বিলের মধ্যে জাকির হোসেন সরকারের মৎস্য প্রকল্প। এখানে চারদিকে তার ১১টি পুকুরের মাঝখানে দ্বিতল খামার বাড়ির কার্নিশে একে একে ২০টি চাকে মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। সকাল-সন্ধ্যা হাজার হাজার মৌমাছির গুঞ্জরণে এ বাড়িসহ সারা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। একটি বাড়িতে এতো মৌচাক আর মৌমাছির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়তই অজস্র মানুষ এখানে ভীড় করে।
জাকির হোসেন জানান, গত ৫ বছর ধরে প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসে মৌমাছির দল তার বাড়িতে এসে বাসা বাঁধে আর আষাঢ় মাসের দিকে চলে যায়। এসব মৌচাক থেকে প্রতি বছর গড়ে আড়াই থেকে তিন মণ মধু আহরণ করা যায়। এ মধুর চাহিদাও ব্যাপক। প্রতি কেজি মধু ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি বছর এ মধু বিক্রি করে ৪৫-৫০ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এসব মৌমাছি সব সময় উড়ে বেড়ালেও কারো গায়ে হুল ফোটায় না, এমনকি খামার বাড়িতে থাকা মৎস্য প্রকল্পের শ্রমিকদের উপরও এসব মৌমাছি কখনও আক্রমণ করে না বলে জানান তিনি।

Development by: webnewsdesign.com