বাগেরহাট সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের এক ওমান প্রবাসীর স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের মৃত শেখ আবু সুফিয়ানের ছেলে সুমন শেখ ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, স্বামী ওমান থাকায় ২টি নাবালক ছেলেকে নিয়ে নিজ স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করে। স্বামী বিদেশ থাকায় পাশ^বর্তী সুমন শেখ তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন সময়ে যৌন মেলামেশার প্রস্তাব দেয়। তার কোন প্রস্তাবে রাজী না হয়ে সুমন তাকে বিবাহ করার প্রলোভন দিতে থাকে। দীর্ঘ কয়েক বছর স্বামী বাড়ীতে না আসায় ভুক্তভোগী নারী সুমনের বিবাহের প্রলোভনে বাধ্য হয়। প্রথমে সুমনের ঘেরের বাসায় নিয়ে সুমন ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে একাধিক বার সুমন সুকৌশলে বিভিন্ন ভাবে ডেকে তার ঘেরে নিয়ে ধর্ষন করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারীর গর্ভে সন্তান আসে।
বিষয়টি ভুক্তভোগী নারী সুমনকে জানালে সুমন তাকে বাগেরহাট একটি ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে নিয়ে আলট্রাসোনো করায়। বিষয়টি ভুক্তভোগী নারী সুমনের বোন লুচিমাকে জানালে সে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করানোর জন্য গর্ভপাতের ঔষধ খাওয়ায় এবং ইনজেকশান দেয়। ১লা জানুয়ারী ২০২২ গর্ভপাত হয় এ সময় ভুক্তভোগী নারীকে লুচিমার বাড়ীতে রাখা হয়। পরবর্তীতে ৪ জানুয়ারী ২ নং আসামী লুচিমা ভুক্তভোগী নারীকে ডাক্তার দেখাবার কথা বলে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় এনে ভুল বুঝিয়ে একটি লিখিত কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী জানতে পারেন তাহার স্বাক্ষর করা কাগজে ভুক্তভোগী নারীর চাচার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করানো হয়েছে। যাহা বাগেরহাট থানা মামলা নং-৫. তারিখ ৪/১/২২, ধারা- ৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন। উক্ত মামলায় ভুক্তভোগী নারীকে ২৫ সপ্তাহের অন্তস্বত্ত্বা বলা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে সে কখনো ২৫ সপ্তাহের অন্তস্বত্ত্বা ছিল না বলে ভুক্তভোগী নারী জানান।
এ বিষয়ে লুচিমা বেগম বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ঘটনার সাথে আমাদের কারো কোন সংশ্লিষ্টতা নাই। এলাকার এক শ্রেনীর স্বার্থন্বেষীমহল নিজেদের স্বার্থস্বিদ্ধীর জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
Development by: webnewsdesign.com