গেল বছর ২৮নভেম্বর চিতলমারীতে আলোচিত শিশু রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে আটক করেছে বাগেরহাট পিবিআই। আসামী হাফিজুর রহমান তালুকদার ওরফে ছোট শিশু রিফাতকে কাদায় ফেলে দুই পা-দিয়ে মাড়িয়ে নির্মম ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আর এই জঘন্য খুনের পরিকল্পনা করেছিল রিফারের চাচাতো ভাই নুরুল আমিন।
এবিষয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমির মল্লিাকের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দিয়েছে খুনি হফিজুর রহমান তালুকদার ওরফে ছোট। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকায় পিবিআই এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে এ তথ্য প্রকাশ করেন খুলনা বিভাগীয় পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক।
ঘটনার বিবরনে জানাযায় স্থানীয় কাওসার তালুকদার গং এর সাথে আসামি মিজান গংদের সাথে এলাকার রাজনৈতি আধিপত্য ,বসতবাড়ির জায়গা -জমি , মাছের ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আসামীরা পরস্পর আত্নীয় হওয়ায় একে অন্যেকে ঘায়েল করতে উঠে পড়ে লাগে। এ অবস্থায় শিশু রিফাত হত্যার আগে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে আসামীদের বসতঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করায় কাওসার তালুকদার গং।
এর আগেও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাওসার তালুকদারের শিশু পুত্র খালিদ খুনের ঘটনায় মিজানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আসামীরা এখনও পলাতক রয়েছে। আর এ হত্যা মামটি সি আইডিতে তদন্তাধিন রয়েছে । এ অবস্থার মধ্যে গত বছরের ২৮ নভেম্বর পতিপক্ষকে ফাসাতে নিজের আপন চাচাতো ভাই শিশু রিফাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে নুরুল আমীন।
আর এই কাজে তিনি বেছে নেয় তার বন্ধু হাফিজুর রহমান ছোটকে। খুনি ছোটকে টাকার বিনিময়ে তার চাচা মান্নানের ছেলে শিশু রিফাতকে বাড়ির পাশে সুপারী বাগানে নিয়ে কাদায় ফেলে নির্মম ভাবে খুন করে। পরে এই খুনের দায় পতিপক্ষের ঘাড়ে ওঠাতে মামলা দায়ের করে বলে পুলিশ জানান। এ ঘটনায় নিহত শিশুর রিফাতের দুই চাচাতো ভাই ইকবাল তালুকদার ও সাকিব তালুকদার পুলিশের হাতে আটক রয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com