বাউফলে সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, দুই মাস না যেতেই ধস!

মঙ্গলবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩:৪৪ অপরাহ্ণ

বাউফলে সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, দুই মাস না যেতেই ধস!
apps

পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন বাস্তবায়িত প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে “বাউফল-নওমালা সড়ক হতে হোসনাবাদ শের ই বাংলা সড়ক সংযোগ ভায়া হাচন হাওলাদার বাড়ি” পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে নির্মাণের দুই মাসের মধ্যেই একাধিক স্থানে ধস নেমেছে।

সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করা ও নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১.৮ কিলোমিটার ওই সড়কটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করেন বাউফল উপজেলা এলজিইডি। এতে পটুয়াখালীর মের্সাস নাজমুস শাহাদাত নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ওই কাজের তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো.শহিদুল ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ সড়কের নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যোগসাজশে ব্যাপক অনিয়ম করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সিডিউলে বালু ভরাট করার কথা থাকলেও অবৈধভাবে বোমা ড্রেজার দিয়ে স্থানীয় পুকুর থেকে কাদা-মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করানো হয়েছে। ঠিক মত কাটা হয়নি বেড। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্ন মানের ইট-খোয়া। কার্পেটিং করার সময় ৬০% বিটুমিন ও ৪০% ক্রসিন দেওয়ার কথা থাকলেও নামে মাত্র বিটুমিন ও ক্রসিন দিয়ে কার্পেটিং করা হয়। ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের পাথর। নির্মাণ কাজে তদারকি কর্মকর্তার পরিবর্তে নির্মাণ কাজ পরির্দশন করেন এলজিইডির নৈশ প্রহরী হারুন।


সড়ক নির্মাণের এমন অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এলজিইডির কর্তা ব্যক্তিরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে নির্দিষ্ট অংকের কমিশন খেয়ে ঠিকাদারকে এমন অনিয়ম করার সুযোগ করে দিয়েছেন এলজিইডির প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী। এরফলে নির্মাণ কাজের দুই মাসের মাথায় সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। উঠে গেছে সড়কের কার্পেটিং।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহাবুদ্দিন (৫০) ও মো. শফিকুল ইসলাম (৪০) বলেন, যেমন খুশি তেমন ভাবে সড়ক নির্মাণ করেছেন ঠিকাদার। নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েও কোন সুরহা হয়নি। এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. শাহাদাত বলেন, যদি ভেঙে থাকে তাহলে সংস্কার করে দেওয়া হবে। নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. সুলতান ইসলাম বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জামানত জব্দ রয়েছে। সড়কটি সংস্কার করার জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হবে।৷৷

Development by: webnewsdesign.com