মোংলা বন্দরে প্রথমবারের মতো ভারতীয় ট্রান্সশিপমেন্টের ট্রায়াল রানের (পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন) জাহাজ এসে পৌঁছেছে। সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এক দিন সকালে বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি রিশাদ রাইহান বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করে জাহাজটি। এ সময় মোংলা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনা ইনদার জিত সাগর, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জেটি পরিদর্শন শেষে মোংলা বন্দর সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যা দু দেশের অর্থনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য মোংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অফ কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে বাংলাদেশের মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে জাহাজটি মোংলায় এসেছে। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে জেএসি শিপিং এবং সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে সুইফট লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড কাজ করছে।
স্থানীয় জেসি শিপিং এজেন্ট খুলনার ব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার দাস বলেন, মোংলা-তামাবিল ও মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ট্রায়ালের জন্য ট্রানজিট কার্গো জাহাজটি বর্তমানে মোংলা বন্দরে অবস্থান করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি রপ্তানির ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, গত ১ আগস্ট রিশাদ রাইহান নামের জাহাজটি ভারতের কোলকাতা বন্দর থেকে দুই ধরনের মেশিনারি পণ্য নিয়ে লাইটার জাহাজটি ছেড়ে আসে। এর মধ্যদিয়ে চারটি ট্রায়াল রানের প্রথমটি মোংলা বন্দরে এসে নোঙ্গর করে। তিনি আরও জানান, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আজ একটি মাইলফলক সৃষ্টি হলো। আশা করছি, এর ফলে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
Development by: webnewsdesign.com