নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণ নয়, সমস্ত বাংলাদেশকে ধর্ষণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিশু ও নারী অধিকার ফোরামের উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।সরকারি দলের দুর্বৃত্তদের হাতে সিলেটের এমসি কলেজ প্রাঙ্গণে নববূধর সম্ভ্রমহানি, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনাসহ সারাদেশে অব্যাহত নারী ও শিশুর ওপর সহিংস্রতার প্রতিবাদে, এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ লেখা কালো কাপড় মুখে মাথা ও মু্খে বেঁধে সংগঠনের সহাস্রাধিক নেতা-কর্মী এই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ‘নিপীড়ক যেখানে, লড়াই হবে সেখান, ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই করে যাবি’ ‘মা-বোনেরা ভয় নাই, রাজপথে আমরা আছি’ ইত্যাদি স্লোগানে দেয়।
বাংলাদেশে নারী নির্যাতন বৃদ্ধির বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের পাঠানো বিবৃতির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সকালে দেখলাম যে, জাতিসংঘের মহাসচিব তিনি বাংলাদেশে যে নারী নির্যাতনের হার বেড়ে গেছে, বাংলাদেশে যে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে গেছে সে বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে তিনি একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। এটা একটা বিরল ঘটনা। এই স্টেটমেন্টে বাংলাদেশের মানুষের সন্মান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে, এই স্টেটমেন্ট এদেশের মানুষের সমস্ত ইজ্জত নষ্ট হয়ে গেছে। আজকে এই সরকার শুধু নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণ নয়, সমস্ত বাংলাদেশকে ধর্ষণ করছে। তখন এই স্টেটমেন্ট বড় প্রমাণ।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি স্বীকার করেছেন এর দায় এড়াতে পারেন না। পারবেন না। আপনারা যে সরকার তৈরি করেছেন সেই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই।
ফখরুল বলেন, আজকে আমার বিশেষ করে মা-বোনদের বলি, আপনাদের প্রতি যে অন্যায়-অবিচার চলছে, এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আর ঘরে বসে থাকা নয়, আমাদেরকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। বিশেষ করে আমি তরুণদেরকে আহ্বান জানাবো- আপনাদের জেগে উঠতে হবে।
সরকারকে আবারো তার ব্যর্থতার জন্য অবিলম্বে পদত্যাগ করার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষ এখন বাঁচতে চায়, তারা চুরি-চামরী, লুটপাট, দখলবাজী, মামলা-মোকাদ্দমা, শিশু-নারী নির্যাতন-ধর্ষণ নির্মুল ভ্যাকসিন চায়। শেখ হাসিনাকে বিদায় দেয়ার নামই হলো নির্মূল ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন এখন জনে জনে, ঘরে ঘরে, নারী পুরুষ-শিশুকে এক ডাকে এক যোগে এক কথায় বলতে হবে যে, ‘শেখ হাসিনা কবে যাবে না, শেখ হাসিনা এখনই যাবে।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ এখন এই ডাকাতদের দল, লুটেরাদের দল, ধর্ষকদের দল। যখন সারাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে তখন আওয়ামী ছাত্র লীগ, আওয়ামী মহিলা যুব লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাস্তার মধ্যে নেমেছে আমরাও প্রতিবাদ করি, আমরাও ধর্ষকদের বিচার চাই। ফরটুয়ান্টি একেবারে।
শিশু ও নারী অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী ও সদস্য মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের পরিচালানায় মানববন্ধনে বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Development by: webnewsdesign.com