ভারত হঠাৎ করে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর এখন আবারও বাংলাদেশের কাছে পিয়াজ বিক্রি করতে চাইছে। আমদানিকৃত পিয়াজ রাজ্য সরকাররা কিনতে রাজি না হওয়ায় বাংলাদেশকে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী।
সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। সে বৈঠকে আমদানিকৃত পিয়াজ বাংলাদেশকে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী।
বিভিন্ন প্রদেশের সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ পিয়াজ আমদানি করে ভারত। কিন্তু পিয়াজ আমদানির পর বেশিরভাগ রাজ্য সরকার তাদের চাহিদা প্রত্যাহার করে নেয়ায় বিপাকে পড়েছে ভারত।
ভারতের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, বিদেশ থেকে মোট ৩৬ হাজার টন পিয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে ভারত। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজার টন পিয়াজ পৌঁছেছে। বিভিন্ন প্রদেশের সরকার আমদানিকৃত পিয়াজের মাত্র ৩ হাজার টন নিয়েছে। অবশিষ্ট পিয়াজ মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায়।
এর আগে, ভারতের ভোক্তা কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান জানান, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পিয়াজের মহারাষ্ট্র সরকার ১০ হাজার টন, আসাম ৩ হাজার টন, হরিয়ানা ৩ হাজার ৪৮০ টন, কর্ণাটক ২৫০ টন ও ওড়িশ্যা প্রদেশ সরকার ১০০ টন চাহিদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গেল বছরের নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে পিয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ রুপি পেরিয়ে যাওয়ার পর এসব রাজ্য এই নিত্যপণ্যটি আমদানি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। এখন তারা আমদানিকৃত পিয়াজের উচ্চমূল্য এবং স্বাদের ভিন্নতার অজুহাত দেখিয়ে সেগুলো নিতে রাজি হচ্ছে না।
বৈঠকে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে পিয়াজ আমদানি করেছে এবং নেপাল হয়ে আরও পিয়াজ দেশের বাজারে ঢোকার অপেক্ষায় আছে। সুতরাং বিনামূল্যে পরিবহনসহ ভারতের কিছু প্রণোদনা দেয়া উচিত। সূত্র: দ্য প্রিন্ট।
Development by: webnewsdesign.com