গত এক বেশি সপ্তাহের অধিক সময় ধরে রাজশাহী জুড়ে শৈত্য প্রবাহ চলমান আছে। এতে করে জনজীবন জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। এদিকে কৃষকদের আবাদি ফসলের প্রস্তুতি নিতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। আর কিছুদিন পরই বোরো আবাদ পুরোদমে শুরু হবে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল জুড়ে। তার আগে ধানের চারা পরিচর্যার কাজে নেমে পড়েছে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন কৃষকরা। ফলে, বীজতলা রক্ষা পাবেন বলে জানান কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, প্রচন্ড ঠান্ডা ও কুয়াশার কারনে বোরো বীজতলা হলদে ও লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। তাই বীজ রক্ষায় কৃষকরা বোরো বীজ তলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন যেন তা নষ্ট না হয়। কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা তাদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন বলে জানান কৃষকরা।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশায় বোরো বীজতলা বড় হতে পারেনা, সেই সাথে হলদে ও লাল হয়ে মরে যাওয়ার পাশাপাশি পচে যায়। তিনি বলেন, যদি পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা হয় তাহলে সে বোরো বীজ নষ্ট হবার সম্ভবনা কম। বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার জন্য কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা বোরো চাষের জন্য জমিতে বীজতলা তৈরি করছেন। গত কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করায় হলদে ও লাল রং ধারন করতে শুরু করেছে বোরো বীজতলা।
অপর দিকে আলু তোলার পরও কৃষকরা বোরো ধান চাষ করেন। আলু তোলার পরে বোরো চাষ করতে কৃষকের বীজ তৈরিতে সমস্যা না হলেও আগাম বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরিতে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বোরোর বীজতলা তৈরি করতে কৃষকদের বিড়াম্বনার পাশাপাশি কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদন মোজদার হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৬ হাজার ২১২ হেক্টর। এবারও সেই লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে তবে তা ছড়িয়েও যেতে পারে। এই শীতে ধানের বীজতালা ঘনকুয়াশার কারনে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।