বরিশালে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মা-ছেলেসহ গ্রেফতার -৩

শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১ | ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

বরিশালে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মা-ছেলেসহ গ্রেফতার -৩
apps

বরিশালে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মা-ছেলেসহ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কাউনিয়া থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাত পৌনে ৯টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আটকরা হলেন, টাঙ্গাইলের সখিপুরের রফিকুল ইসলামের ছেলে রোজন মিয়া (২৭) ও একই এলাকার তমশের আলীর স্ত্রী জোবেদা আক্তার (৫৫) এবং তার ছেলে ঢাকা জেলার রাজাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকার জেআর এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জহিরুল ইসলাম (৩৭)।

কাউনিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন ও তিনটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। তারা ওই সিম কার্ডে বিকাশ ও রকেট একাউন্টের মাধ্যমে এক নারীর কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কাউনিয়া থানা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মাসুদ রানা বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ফিরোজ আলমের স্ত্রী কোহিনুর বেগমের মুঠোফোনে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে ফোন করা হয়। এসময় তাকে বলা হয়, তার বড় ভাই মো. সোবাহান মিয়াকে নারীসহ বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করেছে। কোহিনুরের ভাইকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য তাৎক্ষনিক এক লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। ভাইয়ের বিপদের কথা শুনে প্রতারকের দেয়া তিনটি বিকাশ ও রকেট নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠান তিনি।

এর কিছুক্ষণ পর ফোন করে আরও টাকা চাওয়া হয়। তখন সন্দেহ হলে কোহিনুর বেগম তার ভাই সোবাহান মিয়াকে ফোন করেন। এসময় সোবাহান মিয়া জানান, তিনি বাড়িতেই আছেন। পরবর্তীতে কোহিনুর বেগম টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক কল কেটে মুঠোফোন বন্ধ করে রাখে। গত ২২ মার্চ এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়।

এসি মো. মাসুদ রানা বলেন, মামলার পর প্রতারকদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করে পুলিশ। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় দুই প্রতারকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ২২ মার্চ টাঙ্গাইলের সখিপুরে অভিযান চালানো হয়। এসময় গ্রেফতার করা হয় রোজন মিয়া ও জোবেদা আক্তারকে। পরে তাদের স্বীকারোক্তিনুযায়ী ঢাকার রাজাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকা থেকে জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Development by: webnewsdesign.com