বরগুনায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে ২ শ্যালককে নদীতে ভাসালো দুলাভাই: জীবিত উদ্ধার ১

শুক্রবার, ০৯ অক্টোবর ২০২০ | ৬:৫১ অপরাহ্ণ

বরগুনায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে ২ শ্যালককে নদীতে ভাসালো দুলাভাই: জীবিত উদ্ধার ১
apps

বরগুনা আবদুল্লাহ নামের ছয় বছরের এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে মেরে বিষখালি নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুলাভাইর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙা এলাকায় ফারুক মোল্লার ইটভাটা সংলগ্ন বিষখালী নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু আবদুল্লাহ বাবা ছগীর জানান, তিন মাস আগে অসুস্থ হয়ে তার স্ত্রী’র মৃত্যু হয়। এরপর আবদুল্লাহ (৬) ও আফসানকে (১৮ মাস) তার মেয়েরা লাল পালন করতো। সপ্তাহখানেক আগে তার জামাতা মোসলেম বরগুনায় তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরপর বৃহষ্পতিবার ( ৮ অক্টোবর) বিকেলে ডালভাঙা এলাকায় নানা শ্বশুড়বাড়ি বেড়াতে এসে তার দুই ছেলে আবদুল্লাহ ও আফসানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় দুলাভাই মোসলেম। পরে সন্ধ্যার পরে তিনি জানতে পারেন তার বড় ছেলে আবদুল্লাহ পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর মরদেহ বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে জামাতা মোসলেম। এছাড়াও ছোট ছেলে আফসানকে একই প্রক্রিয়ায় হত্যার সময় স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে আটক করে।

তিনি আরো জানান, মোসলেম আমার বড় মেয়ে ছবির জামাতা। ঢাকায় থাকা অবস্থায় আমার মেয়ে ও নাতীকে ঠিকমত ভরন পোষণ দিতো না জামাতা মোসলেম। তাই মাস খানেক আগে আর মেয়ে ছবি তার সন্তান নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এরপর মোসলেমও সপ্তাহখানে আগে এসে তার বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্ত আমরা মোসলেমের কাছে আমার নাতিকে দিতে রাজী হইনি। এর জেরে আমার ছেলেদের নিয়ে হত্যা করেছে মোসলেম।

ঘাতক মোসলেম শিশু শ্যালক আবদুল্লাহকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে এসেছিলাম, কিন্ত আমার স্ত্রী ও শ্বশুড় নিয়ে যেতে দেয়নি। এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে আমি শ্যালক আবদুল্লাহ ও আফসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে বেড়াতে নিয়ে যাই। এরপর প্রথমে আবদুল্লাহকে দীঘিতে ফেলে ডুবিয়ে হত্যা করে লাশ বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেই। এরপর আফসানকেও একই প্রক্রিয়ায় হত্যার চেষ্টা করি।’

ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ঘাতক মোসলেমকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় পুলিশের কাছেও হত্যার বিবরণ দেয় মোসলেম। স্থানীয়দের কাছ থেকে উদ্ধার করে মোসলেমকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘাতক মোসলেমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Development by: webnewsdesign.com