বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের জীবনের হতাশা আর বিষণ্ণতা বোধ হওয়া খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যের টুকটাক কিছু চড়াই-উৎরাই তো রয়েছেই। সে কারণে যদি অনেক আগে থেকে এ সময়টির জন্য কিছু মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া যায় তাহলে খুব ভালো হয়। বয়স বাড়লে কী করবেন আর কী করবেন না, কিভাবে চলবেন, সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের উল্লেখযোগ্য কিছু স্বাস্থ্য পরামর্শ নিচে তুলে ধরা হলো-
১। নিয়ম করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে দৈনিক হাঁটুন।
২। মেজাজ যখনই খিটখিটে অনুভব হয় গভীরভাবে শ্বাস নিন।
৩। হালকা ব্যায়াম করুন প্রতিদিন, যাতে শরীরে জড়তা না আসে।
৪। গরমকালে A/C তে থাকার সময় পানি একটু বেশি পরিমাণে পান করুন।
৫। যত বেশি চিবিয়ে খাবেন আপনার শরীর এবং মস্তিষ্ক ততই এনার্জি পাবে এবং কর্মক্ষম থাকবে।
৬। ভুলে যাওয়া বয়ঃজনিত রোগ নয়, মস্তিষ্ককে (Brain) কম খাটানোর পরিণাম এটা।
৭। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ পরিহার করার চেষ্টা করুন।
৮। রক্তচাপ আর রক্তের শর্করাকে জবরদস্তি কমানোর চেষ্টা করবেন না (Emergency ছাড়া)।
৯। সেই কাজটাই করুন যেটা আপনি ভালোবেসে করছেন। অর্থাৎ, কাজকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন।
১০। সারাদিন বাড়িতে বসে থাকবেন না। রোজ সকাল-বিকাল একবার অন্তত বাইরে বের হবেন, হাঁটবেন।
১১। যা মন চাইবে খাবেন, কিন্তু পরিমিত পরিমাণে।
১২। সব কাজই সতর্কতার সাথে করবেন।
১৩। কারও সাথেই এমন ব্যবহার করবেন না যে ব্যবহার আপনি নিজেও আশা করেন না।
১৪। নিজের লোকেদের প্রতি খেয়াল রাখুন এবং খোঁজ খবর নিন।
১৫। অসুখের সাথে জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়াই করার বদলে সেটাকে স্বাভাবিকভাবে ধরে নিয়ে বাঁচুন।
১৬। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরে হাল্কা গরম পানি পান করুন।
১৭। ঘুম না এলে জবরদস্তি বা হায়-হুতাশ না করে স্বাভাবিকভাবে নিন।
১৮। মন ভালো হয়ে যাওয়ার মতো কিছু না কিছু করতে চেষ্টা করুন।
১৯। পরিচিত লোকেদের সাথে দেখা হলে খুশিমনে কথা বলুন।
২০। জীবনকে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে, এমন কথা মনেও আনবেন না।
২১। একজন পারিবারিক চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ রেখে চলবেন।
২২। ধৈর্য রাখুন, কিন্তু অত্যধিক নয়, যাতে আপনি খুব ভালো আছেন দেখানো হচ্ছে।
২৩। নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা হারাবেন না। না হলে লোকে বুড়ো বলবে।
২৪। লোভ পরিহার করুন। যতটুকু আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন।
২৫। শোবার থেকে উঠে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে পড়বেন না। ২-৩ মিনিট বসে থেকে তারপর উঠুন।
২৬। যে জিনিস আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, সম্ভব হলে বিশ্বস্ত কারো সাথে সেটা share করুন। মনে চেপে রাখবেন না।
২৭। গোসল করার পরে পোশাক পরার সময় দেওয়াল ধরে পরুন। সম্ভব হলে বাথরুমে ধরার জন্য কয়েকটা ছোট রড লাগিয়ে নিন।
২৮। সেটাই করুন যেটা নিজের আর অপরের জন্য হিতকর।
২৯। প্রসন্নতার সাথে এবং আরাম ও অনুভূতির সাথে বাঁচুন।
৩০। দীর্ঘায়ুর উৎস (বাঁচার ইচ্ছা, নতুন কিছু ভাবার ইচ্ছা…)।
৩১। জীবন আর জীবনের নিয়ম আপনার নিজের হাতে রয়েছে।
৩২। এই বয়সে সবকিছুই শান্ত চিত্তে স্বীকার করুন।
৩৩। ছোট বা বড় কোন ঘটনাতেই react করবেন না, শান্ত থাকুন।
৩৪। মুখে বেশি কথা বলে ছোটদের শিক্ষা না দিয়ে শান্ত ব্যবহার ও স্নেহের সাথে, ভালোবেসে শিক্ষণীয় দুটো কথা বলুন।
৩৫। মনে মনে অতীতের রোমন্থন থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
৩৬। জীবন যে একটা উৎসব সেটা নিজের অনুভবের আধারে অন্যদের অনুভব করান।
Development by: webnewsdesign.com