দেশের দ্বিতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ রুশ প্রতিষ্ঠান গ্লাভকসমস। বুধবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি ও রুশ প্রতিষ্ঠান গ্লাভকসমসের সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গ্লাভকসমসের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দিমিত্রি লসকুতভ। মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও শাহজাহান মাহমুদ।
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ২০১৮ সালের ১২ মে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ফরাসি কোম্পানির তৈরি সেই কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তার সাড়ে তিন বছরের মাথায় দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে ‘নতুন মাইলফলক’ হিসাবে অভিহিত করেছেন মোস্তাফা জব্বার।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে টেলিযোগাযোগ খাতে তিনটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল তৃতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপন, ফাইভ-জি চালু এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ। দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের জন্য ২০১৯ সালেই কাজ শুরু হয়েছিল।
সমঝোতা স্মারকের কিছু অংশ উদ্ধৃত করে গ্লাভকসমসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুশ মহাকাশ ইন্ডাস্ট্রি থেকে বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ তৈরি, উৎক্ষেপণ এবং রুশ ও বিদেশি মহাকাশ যান থেকে ভূমিতে তথ্যগ্রহণের অবকাঠামো নির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতায় একমত হয়েছে উভয়পক্ষ। সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে বলে জানিয়েছে গ্লাভকসমস।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রান্তে ঢাকায় রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ ম্যান্টিটস্কি এবং রাশিয়া প্রান্তে সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।
Development by: webnewsdesign.com