অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই। তবে তিনি আমাদের জন্য সবকিছু গুছিয়ে রেখে গেছেন। আমাদের জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, কোন পথে গেলে আমাদের এগোনো সহজ হবে। তিনি আমাদের জন্য অর্থনীতিতে সফলতার পরিকল্পনা তৈরি করে গেছেন। বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি আয়োজন করেছিল নবীনবরণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা এখন বিশ্বের অর্থনীতিতে ৩০তম। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকংকে ছাড়িয়ে তাদের উপরে চলে যাবো। বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে বিশ্বের উন্নত দেশের সমান। এদেশের মানুষের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্য থাকবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে বিশ্বে প্রথম বিশটি উন্নত দেশের একটি। এটা আমাদের স্বপ্ন এবং এটা আমরা বাস্তবায়ন করবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে দেশে ফিরে একটি বিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পরিকল্পিতভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে এদেশের কতিপয় মানুষ জাতির পিতাকে তিন বছরের মাথায় পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এই তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যে কাজ করে গেছেন, পৃথিবীর ইতিহাস গবেষণা করেও এ ধরনের ঘটনা পাওয়া যাবে না। কোন সালে কি হবে, কখন আমরা কি করবো, কিভাবে পরিকল্পনা সাজাবো, সবকিছু নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘যে দেশে শিক্ষা নেই সে দেশে আলো নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে শিক্ষার আলো জ্বালাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেক বড় একটি অনুদান দিয়েছেন। যা দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে সাজানো যাবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব ফরিদ আজিজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোজাম্মেল হক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ ফয়সাল বিন করিম প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী পথশিশুদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন। কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এর আগে বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এরপর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
Development by: webnewsdesign.com